দীর্ঘায়ু লাভের জন্য স্বাস্থ্যকর খাওয়ার নিয়ম।

সুস্থ্য থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার খুবই জরুরি, তেমনি সুস্থ্য থাকার জন্য সময়মতো হিসাব করে খাওয়া আরও বেশি জরুরি।

অসময়ে বেশি পরিমাণ খাবার খেলে নানা ধরনের অসুখ বা সমস্যা তৈরি হয়।

সুষম খাবার হলো সুস্থ্য থাকার প্রধান নিয়ামক।

সুষম খাবার বলতে আমরা বুঝি যে খাবারে শর্করা, আমিষ, চর্বি, ভিটামিন ও খনিজ লবণ পরিমাণমতো থাকে। খাবার শুধু সুষম হলেই চলবে না, খেতে হবে সময়মতো। সকাল, দুপুর ও রাতে পরিমাণমতো খাবার খেতে হবে।

সকালের খাবার:

সকলের জন্য সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সারা রাত আমরা ঘুমিয়ে থাকি, যার ফলে সকালে পাকস্থলী খালি হয়ে যায়। তাই সকালের খাবার খেতে ঠিকমতো।

সকালে খাওয়ার সঠিক সময় সকাল ৭-৮ এর মধ্যে। মনে রাখবেন ঘুম থেকে উঠার ১ ঘণ্টার মধ্যে সকালের খাবার খেতে হবে। আমরা সকালে অনেকে ভাত খাই এতে শর্করার প্রয়োজন পূরণ হয়।

সকালে আরও খেতে পারেন রুটি, পরোটা, খিচুড়ি, পাউরুটি। আপনি চাইলে ডিম, ডাল, ১-২ টুকরা মাংস ও সবজি খেতে পারেন।

দুপুরের খাবার:

দুপুরে বেশি না খেয়ে পরিমিত খাওয়া ভালো। দুপুরে আপনি খেতে পারেন মাছ, ভাত, সবজি বা মাংস। আমরা অনেকে সকালে না খেয়ে একবারে দুপুরে খাবার খাই, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

দুপুরে খাওয়ার সঠিক সময় ১২:৩০-০২:০০ পর্যন্ত। মনে রাখবেন সকালের খাবার ও দুপুরের খাবারের মধ্যে যেনো ৪ ঘন্টা ব্যবধান থাকে।

রাতের খাবার:

রাতে খেতে হবে খুব হালকা। খেতে হবে সারা দিনের সব থেকে কম খাবার। রাতের খাবারে আপনি খেতে পারেন এক কাপ ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল, ডিম, মাছ, মাংস এবং সবজিও খেতে পারেন। নিয়মিত প্রাণিজ প্রোটিন খেতে হবে। না খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাবে। ফলে শরীরে শক্তি কমতে শুরু করবে।

রাতে খাবার খাওয়ার সঠিক সময় ৬-৯ টা পর্যন্ত। মনে রাখবেন ঘুমানোর ৩ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া ভালো।

সারা দিনে কতটুকু পানি পান করবেন:

আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ-ই পানি। সুস্থ্য থাকার জন্য পানি পানের বিকল্প নেই। একজন মানুষের প্রতিদিন অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিৎ।

পানি দিনের যে কোনো সময়ে পান করা যায়। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পানে অনেক উপকারিতা আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মধ্য-সকাল ও বিকেলের খাবার:

সকাল আর দুপুরের মাঝের সময়টায় খেতে পারেন যেকোনো একটি মৌসুমি ফল। তবে একটির বেশি নয়। দুপুর আর সন্ধ্যার মাঝের সময়টাতে চা বা কফি খেতে পারেন। তবে চিনি ছাড়া খেলে ভালো হয়। বাড়িতে বানানো জুস বা সালাদ খেতে পারেন।

আমাদের প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর কিছু না কিছু খাওয়া উচিৎ। কারণ পাকস্থলী খালি হয়ে যায় এবং গ্যাস জমতে শুরু করে। এ জন্য মধ্য সকাল ও বিকেলের খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।