গর্ভবতী মা দিনে কয়টি ডিম খাবে। ডিম বেশি খেলে বা কাঁচা খেলে কি ক্ষতি?
ডিমের উপকারীতা অনেক। ডিম প্রোটিনের একটি ভাল উৎস যা আপনার এবং আপনার সন্তানের প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে। এতে কোলিন সহ ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ভাল। তবে অল্প রান্না করা বা কাঁচা ডিম না খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
গর্ভবতী মায়েদের দিনে ৪০ থেকে ৭০ গ্রাম প্রোটিনের দরকার হয়। একটি ডিমের মধ্যে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাই গর্ভবতী মায়েদের দিনে ২টি ডিম খাওয়া পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণের সহজ উপায়। তবে অবশ্য হাফ বয়েল অর্থাৎ সেদ্ধ ডিম করে খেতে হবে।
যদি আপনি অন্যান্য খাবার থেকে পর্যাপ্ত প্রোটিন পেয়ে থাকেন তাহলে দিনে একটি ডিম খাওয়া ভালো।
গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল থাকে – অর্থাৎ কাঁচা খাবার গ্রহণের ফলে ক্ষতি হতে পারে।
গর্ভবতী মহিলারা একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম ডায়েটের অংশ হিসাবে প্রতিদিন ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই সাথে প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, আখরোট এবং সঠিক পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন: চর্বিযুক্ত মাংস, মুরগী, মাছ, লেবু, বাদাম এবং বীজ রয়েছে।
ডিম বেশি খেলে বা কাঁচা খেলে কি ক্ষতি?
ডিম বেশি তো খাওয়াই যাবে না। দিনে একটি বা দুটো ডিম যথেষ্ট। এতে আপনি ৭ বা ১৪ গ্রাম প্রোটিন পাবেন। বাকিটা আপনি অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার থেকে পাবেন।
গর্ভাবস্থায় অনেক মায়ের রক্তচাপ বেড়ে যায়। সন্তানের ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে অনেক মায়ের রক্তচাপ একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই পরিমিত পরিমানে ডিম খেতে হবে। বেশি খেলে রক্তচাপ ও ওজন দুটোই বেড়ে যাবে।
তাই হাফ বয়েল বা ডিম পোচ বা কাঁচা ডিম খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ।