সমবয়সী ছেলে মেয়ে বিয়ে করলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়?
বিয়ে হচ্ছে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে একটি পবিত্র বন্ধন যা সারা জীবন দুজনকে অটুট বন্ধনে আবদ্ধ রাখে। বিয়ে ভালোবেসে করা হোক আর পারিবারিকভাবে করা হোক বৈবাহিক জীবনে ভালোবাসা, আন্তরিকতা, সমঝোতা, মূল্যবোধ ও দুজনের পারস্পরিক শ্রদ্ধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দুজন যদি একে অন্যকে বুঝতে পারে অনুভব করতে পারে তাহলে সংসারে অনেক সমস্যা ও সমাধান খুব সহজেই করা সম্ভব। বৈবাহিক জীবনে ছোটখাটো সমস্যা থাকবেই কারণ সংসার জীবনটাই এমন।
সমবয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়েতে যে সব সমস্যা দেখা যায়–
মানসিক পরিপক্কতার পার্থক্য :
মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় কম বয়সে মানসিক ও শারীরিক পরিপক্কতা লাভ করে এ কারণে সমবয়সী বিয়ে হলে স্ত্রী যদি স্বামীর চেয়ে বেশি সাংসারিক ও পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে সচেতন হয় তখন সে সাংসারিক অনেক বিষয়ে স্বামীকে পাত্তা দিতে চায় না। আর স্বামী-সংসারের কর্তৃত্ব নিতে চাইলে শুরু হয়ে যায় দুজনের দাম্পত্য জীবনে মতভেদ ও বিভিন্ন জটিলতা।
সম্মান ও শ্রদ্ধার অভাব :
সমবয়সী বিয়েতে সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুসুলভ ব্যাপারটা একটু বেশি থাকে এবং দুজন দুজনের মধ্যে পারিবারিকভাবে সম্মান ও শ্রদ্ধার ব্যাপারটা একটু কম থাকে। আর স্বামী যখন মনে করে যে সে তার স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী হিসাবে যথাযথ সম্মান পাচ্ছে না তখনই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।
জৈবিক কারণ :
একজন নারী যেমন দ্রুত শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিপক্কতা লাভ করে তেমনি তার বার্ধক্য ও পুরুষের তুলনায় তাড়াতাড়ি চলে আসে একারণে একজন পুরুষের যখন ৪৫ বছর বয়স হয় তখন তার সমবয়সী স্ত্রীর বয়স ও ৪৫ বছর হয়। তখন সাধারণ ভাবেই তার স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ কমতে থাকে। এ কারণে দাম্পত্য জীবনে দুজনের মধ্যে বিভিন্ন রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আসলে বৈবাহিক জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকলেই যে তারা সুখী হবে এবং সমবয়সী বিবাহ করলে তারা সুখী হবে না ব্যাপারটা আসলে এমন নয়। আসলে বৈবাহিক জীবনের দুজনের মধ্যে ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকলে সমবয়সী বা বয়সের পার্থক্য যেকোনো বিবাহে সুখী হওয়া যায়।