শ্বেতী রোগ কী? শ্বেতী রোগের কারন ও প্রতিকার।
শ্বেতী রোগ কী
শ্বেতী রোগ নিয়ে আমাদের নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই রোগ কেন হয় তা সম্পর্কে অনেকেই জানে না। ইংরেজিতে শ্বেতী রোগকে লিউকোডারমা (Leucoderma) বলা হয়। লিউকো অর্থ সাদা এবং ডারমা অর্থ ত্বক।
শ্বেতী রোগ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয় বা প্রানঘাতি ও নয়। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
শ্বেতী রোগ সাধারণত শরীরের ত্বকের রং উৎপাদনকারী কোষ মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে ভারসাম্য নষ্ট হলে মেলানিন নামক ত্বকের রঞ্জক তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এর ফলে দেখা দেয় শ্বেতী। এই শ্বেতী বংশগত কারণে ও হতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শ্বেতীতে আক্রান্ত।
শ্বেতী রোগের প্রতিকার:
শ্বেতী রোগের চিকিৎসা অনেক সময় সাপেক্ষ হয়ে থাকে, পুরোপুরি সারতে না ও পারে।
দেহের যেখানে লোম আছে সেই খানের চিকিৎসা অনেকটাই সফল হয়ে থাকে। যেসব জায়গায় লোম না থাকে যেমন আঙুল, ঠোঁট ইত্যাদির চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ হতে পারে।
অনেক সময় এমনিতেই সেরে যেতে পারে। ছোট আকৃতির শ্বেতী মলম বা ওষুধে ঠিক হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মলম লাগানো বা ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সকালবেলার রোদ লাগাতে হবে। কিন্তু দেখা যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন হযে থাকে।
ওষুধে কাজ যদি না হয় তাহলে অস্ত্রপচার করা যেতে পারে। এই চিকিত্সায় অস্ত্রপচারের নাম পাঞ্চ গ্রাফটিং। শ্বেতী রোগ সারিয়ে তুলতে পারে পাঞ্চ গ্রাফটিং।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিৎসা করা ভাল। শরীরের সাদা দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
তবে একাক জনের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি একাক রকম হয়। সব রোগীর জন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতি একই রকম ফল না ও দিতে পারে। রোগীর বয়স, রোগের স্থান এবং ব্যাপ্তিভেদে চিকিৎসার পদ্ধতি বাছাই করা হয়ে থাকে।