যক্ষ্মা রোগের কারণ ও লক্ষণ।
যক্ষ্মা (Tuberculosis) (TB) একটি গুরুতর সংক্রামক রোগ যা প্রধানত ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। যক্ষ্মা সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কাশি এবং হাঁচির মাধ্যমে বাতাসে ক্ষুদ্র ফোঁটার মাধ্যমে ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়ে।
এইচআইভি হলে একজন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়, তাই এটি টিবি জীবাণুর সাথে লড়াই করতে পারে না। যক্ষ্মা আপনার মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের মতো আপনার শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পর। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ী।
২০ শতকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যক্ষ্মা মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ ছিল। কিন্তু এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে নিরাময় করা হয়।
যক্ষ্মার প্রকারভেদ
যক্ষ্মা রোগের দুটি রূপ রয়েছে:
সুপ্ত টিবি (Latent TB)
সুপ্ত টিবি মানে আপনার শরীরে জীবাণু আছে, কিন্তু আপনার ইমিউন সিস্টেম জীবাণু ছড়িয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখে। কোন উপসর্গ থাকে না, এবং আপনি সংক্রামক নন। কিন্তু সংক্রমণ যেহেতু জীবিত তাই যেকোন একদিন সক্রিয় হতে পারে।
সক্রিয় টিবি (Active TB)
সক্রিয় টিবি জীবাণুর সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং আপনাকে অসুস্থ করে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সক্রিয় টিবি এর ৯০ শতাংশ একটি সুপ্ত টিবি সংক্রমণ থেকে আসে।
যক্ষা রোগের কারণ
চলুন জেনে নেওয়া যাক, যক্ষা রোগের কারণ সম্পর্কে –
যক্ষ্মা একটি ব্যাকটেরিয়া বাহিত রোগ। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী। যক্ষ্মা রোগ ছড়ায় মূলত বাতাসের মাধ্যমে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে রোগের জীবাণু আরেক ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে।
ঘন বসতি, নোংরা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিম্ন জীবনমান, অপুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব ইত্যাদি কারণে যক্ষ্মা রোগ হয়ে থাকে।
মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের ব্যাকটেরিয়া শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটিয়ে এই রোগ ঘটায়।
যক্ষা রোগের লক্ষণ
চলুন জেনে নেওয়া যাক, যক্ষা রোগের লক্ষণগুলি কি কি –
- কাশি ৩ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
- কাশি থেকে রক্ত বা থুতু (কফ) বের হয়।
- বুক ব্যাথা ও ক্লান্তি অনুভব।
- জ্বর হওয়া।
- ঘাম হওয়া।
- হঠাৎ করেই ওজন কমে যাওয়া।
- ক্ষুধা কমে যাওয়া।