মুক্তিযুদ্ধের একটি সোনালি পাতা।

মুক্তিযুদ্ধের একটি সোনালি পাতা

—————————

১৯৭১ সাল। মার্চ মাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলেন। শুরু হলো মুক্তিযুদ্ধ। সারা দেশে চলছিল যুদ্ধ। স্বাধীনতার জন্য মুক্তিসেনারা লড়াই করছিলেন। তখন জুন মাস। এ দেশেরই একটি গ্রাম। ঐ গ্রামে ছিল জঙ্গল ঘেরা পুরানো এক জমিদার বাড়ি। সেখানে এক দল মুক্তিসেনা ঘাঁটি গড়েছেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁদের দলনেতা। পাশের গ্রামে ছিল পাকিস্তানি শত্রুসেনারা।

হটাৎ তারা গুলি চালাতে লাগলো মুক্তিসেনাদের দিকে। বিপদ টের পেলেন দলনেতা। শত্রুরা তখন খুবই কাছে। গুলি ছুটে আসতে লাগলো চারদিক থেকে। কি করবেন মুক্তিসেনারা? মুক্তিসেনাদের পিছনে ছিল একটা বড় গ্রাম। সেখানে অনেক মানুষের বাস।

পিছু হটে গেলে শত্রুরা সহজেই গ্রামটি ধ্বংস করবে। এতে ঘরবাড়ি পুড়বে। অনেক মানুষ মরবে। তা তো হতে দেওয়া যায় না। জীবন দিয়ে হলেও শত্রুদের ঠেকাতে হবে। মুক্তিসেনারা পাল্টা গুলি ছুঁড়তে লাগলেন। এক সময় গুলি এসে লাগলো এক মুক্তিসেনার বুকে। লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। দেশের জন্য তিনি শহীদ হলেন।

বিপদ আরও বেড়ে গেল। কিন্তু দলনেতা ভয় পেলেন না। তিনি বুঝলেন, শত্রুদের রুখতে হলে কৌশল বদলাতে হবে। শত্রুদের বোঝাতে হবে, মুক্তিসেনারা সংখ্যায় অনেক বেশি। তাই তারা কৌশলে বার বার জায়গা বদলালেন। আর নতুন নতুন আড়াল থেকে অনবরত গুলি ছুঁড়লেন।

বুদ্ধিটা কাজে লাগলো। এক সময় শত্রুর গুলি কমে এলো। মুক্তিসেনাদের বুদ্ধি ও সাহসে শত্রুরা পিছু হাঁটলো। গ্রামটি রক্ষা পেল। ঘটনাটি ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্বের একটি সোনালি পাতা।