ভিটামিন “কে” এর অভাবে কি কি সমস্যা দেখা দেয়।
ভিটামিন “কে” হল ফ্যাট-দ্রবণীয় যৌগের একটি গ্রুপকে বোঝায়। রক্ত জমাট বাঁধা, হাড়ের বিকাশ এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন “কে” খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ভিটামিন “কে” এর অভাবে রক্তপাত, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, অস্টিওপোরোসিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
ভিটামিন k ফ্যাটে দ্রবণীয় হওয়াই এই ভিটামিন দেহের শোষণের জন্য ফ্যাটের প্রয়োজন হয়। ভিটামিন “কে” দুটি রূপে বিদ্যমান, ভিটামিন k1 (phylloquinone) এবং k2 (menaquinone)।
ভিটামিন k1 উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়, বিশেষ করে পালং শাক, ব্রোকোলি এবং বাঁধাকপির এবং গাঢ় সবুজ শাকসবজি। ভিটামিন K2 প্রাকৃতিকভাবে অন্ত্রে তৈরি হয় এবং K1 এর মতোই কাজ করে।
ভিটামিন “কে” রক্ত জমাট বাঁধতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জমাট বাঁধা এমন একটি প্রক্রিয়া যা শরীরের ভিতরে এবং বাইরে উভয়ই রক্তপাত প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ভিটামিন “কে” এর অভাব দেখা যায় না কারণ আমরা যেসব খাবার খাই তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে K1 থাকে এবং শরীর নিজে থেকেই K2 তৈরি করে।
তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন “কে” রাখার কোনো বিকল্প নেই।
ভিটামিন “কে” এর অভাবে কি কি সমস্যা দেখা দেয় তা নিচে দেওয়া হলো:
- কোথাও কেটে গেলে অত্যধিক রক্তপাত হওয়া।
- সহজে কালশিটে পড়ে যাওয়া।
- নখের তলার চামড়ায় রক্তপাত হওয়া।
- ফ্যাকাসেভাব ও দুর্বলতা বোধ হওয়া।
- গাঢ় রঙের মল বা রক্ত মল হওয়া।
- প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া।
- হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া।
- ফুসকুড়ি হওয়া।
- দ্রুত হৃদস্পন্দন হওয়া।
ভিটামিন k এর ঘাটতি কেন হয়?
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিকাল কেমিস্ট্রি অনুসারে, ভিটামিন k এর ঘাটতি তখনই ঘটে যখন এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করা না হয়। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের উৎপাদন কমে গেলে কিংবা লিভারের রোগের কারণে ভিটামিন k দেহে জমা থাকতে পারে না ফলে শরীরে ভিটামিন k এর অভাব হয়ে থাকে।