কোন কাজগুলো কখনও করা উচিত নয়?

জীবন তৈরির জন্য কী করব আর কী করব না, তা নিয়ে বেশ দ্বিধায় থাকি আমরা সকলে। বেশ কিছু কাজ বা অভ্যাস পরিবর্তন করলেই নিজের জীবনকে আলোকিত করা সম্ভব।

প্রতিদিনের ইতিবাচক অভ্যাস আমাদের জীবনেকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনে। কিছু কাজ আছে যা থেকে নিজে এড়িয়ে চলতে পারলে দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি ও বিরক্তি কাটানো সম্ভব।

আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজগুলো না করা আমাদের জন্য ভালো –

নিজের শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক অবস্থাকে অবহেলা করবেন না:

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। দুর্বল স্বাস্থ্য মানেই দুর্বল মন। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, প্রচুর পরিমানে পানি পানের অভ্যাস করুন এবং নিয়মিত অধিক সময় ধরে হাঁটাহাটি করুন।

অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলবেন না:

নিজের অনিচ্ছায় কাজ করার অভ্যাস বাদ দিন। কর্মক্ষেত্রে আপনার নিজের অবস্থান ঠিক রাখুন। কোথায় ‘হ্যাঁ’ আর কোথায় ‘না’ বলতে হয় তা ভালো করে আয়ত্ত করুন। কোনোকিছু বিবেচনা না করে অন্যের কথায় মত দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

নিজেকে কখনোই অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না:

আমাদের সকলের বিশ্বাস করা উচিৎ প্রত্যেক মানুষই অনন্য এবং আলাদা। নিজের দুঃখ কিংবা ব্যর্থতা অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে নিজেকে ছোট করা একদমই উচিৎ নয়। সবাই যার যার জায়গায় অনন্য ও আলাদা-এমনটাই সবসময় ভাবুন।

ব্যর্থতাকে নিজের ওপর ভর করতে দেবেন না:

ব্যর্থতা মানে যে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে, এমনটা কখনোই ভাববেন না। যখন কোনো কাজে ব্যর্থ হবেন তখন ব্যর্থতা থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করুন। কেন ব্যর্থ হলেন তার পেছনে অকারণে সময় নষ্ট না করে পরবর্তী কাজে মন দিন। ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে ভেবে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন।

অহংবোধ চর্চা করবেন না:

আপনি শ্রেষ্ঠ, আপনিই সেরা-এমন মনোভাব এড়িয়ে চলুন। বিনয়ী হওয়া চেষ্ঠা করুন। কেউ দাম্ভিকতাকে সম্মান দেয় না, তাই দাম্ভিকতা এড়িয়ে চলুন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুলবেন না।

কৃতজ্ঞতাকে কখনো অস্বীকার করা উচিৎ না। নিজের জীবনে যাই ঘটুক না কেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা শিখুন। আপনার সহকর্মী, বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে যেই কৃতজ্ঞতা করবে তাকে ধন্যবাদ জানান।

নেতিবাচক পরিবেশে থাকবেন না:

নেতিবাচক মানুষ ও পরিবেশ আপনার জীবনীশক্তির মান কমিয়ে দেয়, তাই যেকোনো মূল্যেই তাদের পরিহার করুন। আমরা যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করি বা যাদের সাথে চলাফেরা করি, তারাই নির্ধারণ করে আমরা আসলে কতটা ইতিবাচক-নেতিবাচক।

পরচর্চা করবেন না:

 নিজেকে বড় মনের মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য পরচর্চা থেকে নিজেকে বিরত থাকুন। নিজেকে অন্য মানুষের জায়গায় কল্পনা করতে শিখুন। অন্যের খারাপ গুণ বা ব্যর্থতা নিয়ে একদমই হাসাহাসি করবেন না। নেতিবাচক গল্পগুজবের পরিবেশ ও মানুষকে এড়িয়ে চলুন।

অন্যের নেতিবাচক মতামতে নিজেকে ভাসিয়ে দেবেন না:

ব্যর্থতা নিয়ে যারা নেতিবাচক কথা বলে, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের ক্ষতি  কখনো করবেন না। নিজের জোর আর নিজের শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখতে শিখুন।

কখনো আশা হারাবেন না:

কোনো ব্যাপারে কখনো আশা হারাবেন না। সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করে কাজ করবেন এবং সব সময় মোটিভেটেড থাকবেন। যুদ্ধ করা থামাবেন না, কোনো কাজ ধরলে কাজের শেষ প্রান্তে যাবেন।