ফিজিওথেরাপি কখন প্রয়োজন।
ফিজিওথেরাপি হল স্বতন্ত্র চিকিৎসাব্যবস্থা যেখানে শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়। এই চিকিৎসা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত চিকিৎসা। মূলত একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর বাত ব্যথা বা আঘাতজনিত সমস্যা নির্ণয় করে চিকিৎসা দিয়ে থাকে।
বাত-ব্যথা ও আঘাতগ্রস্ত রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না হওয়ার কারণে তারা সুস্থ্য হতে পারছে না। এই অবস্থার নিরাময় ও প্রতিরোধ প্রয়োজন যথাযথ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। এটি আশ্চর্যজনক উপায়ে আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।
ফিজিওথেরাপি কখন প্রয়োজন
ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীতা সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল:
ভারসাম্য হারালে:
অনেক সময় দেখা যায় অভ্যন্তরীণ কানের সমস্যার কারণে শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। কানের ভিতরের গঠন শরীরের ভারসাম্য ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ যা ভেস্টিবুলার সিস্টেম নামে পরিচিত।
কানকে প্রভাবিত করে এমন অভ্যন্তরীণ যেকোনো সমস্যা যেমন মাথা ঘোরা, ভার্টিগো এবং ভারসাম্যের ব্যাঘাতের মতো লক্ষণগুলির অনুভব করতে পারে যার কারণে বেঁচে থাকা অত্যন্ত কঠিন হতে পারে। এই সমস্যার জন্য ভেস্টিবুলার রিহ্যাবিলিটেশন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
বসে থাকার ফলে ব্যথা অনুভব হলে:
যদি সারাদিন বসে থাকেন তাহলে ব্যথা অনুভব করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। একটানা বেশি সময় ধরে যদি বসে থাকা হয় তাহলে আমাদের শরীরের পেশী এবং জয়েন্টগুলোতে চাপ পড়তে শুরু করে ফলে ব্যথা হতে পারে। তাই আমাদের কাজের মাঝে বিরতি নেওয়া উচিত।
ক্রমাগত ব্যথা অনুভব হলে:
কোথাও জোরে আঘাত পেলে অনেক সময় ব্যথা সহজে যেতে চাই না। নির্দিষ্ট এক জায়গায় ঠিকই ব্যথা অনুভব হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়। ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনার সমস্যাটি সমাধানের জন্য ব্যায়াম বা কিছু পরামর্শ প্রদান করতে পারেন।
নড়াচড়া করতে না পারলে:
যদি মনে হয় বয়সের সাথে সাথে আপনার আগের মতো নড়াচড়া করতে সমস্যা হচ্ছে তাহলে আপনি একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিতে পারেন। ফিজিওথেরাপিস্টরা সমস্যাটি মূল্যায়ন করেন এবং টিস্যুগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পেশীগুলিকে শিথিল করার জন্য কিছু ব্যায়াম প্রদান করতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রস্রাব শুরু হলে:
অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাব খুবই সাধারণ বিষয়। এটি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের জন্য বেশি হয়ে থাকে এবং এটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূত্রনালীর দুই প্রকার স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স এবং আর্জ ইনকন্টিনেন্স।
যখন মূত্রাশয় চাপে থাকে, যেমন যখন আপনি কাশি বা হাঁচি দেন তখন স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স হয়। আর্জ ইনকন্টিনেন্স হল যখন আপনি প্রস্রাব করার জন্য হঠাৎ তীব্র তাগিদ অনুভব করেন। অনেকেই এই উভয় সমস্যায় ভোগেন। যদি আপনার এমন কোন সমস্যা থাকে তাহলে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।