জিঙ্কের অভাবে শরীরে কি কি সমস্যা দেখা দেয়।

শরীরে পর্যাপ্ত জিঙ্ক না থাকলে জিঙ্কের ঘাটতি হয়। কোষ তৈরি করতে, গর্ভাবস্থা, ডিএনএ তৈরি করার জন্য, শৈশব এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ক্ষত নিরাময় এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের শরীরের ৩০০ এনজাইমকে সচল রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক। এসব এনজাইম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কোষ গঠন করতে সাহায্য করে।

মহিলাদের প্রতিদিন ৮ মিলিগ্রাম জিঙ্ক প্রয়োজন এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের জন্য ১১ মিলিগ্রাম। গর্ভবতী নারীদের দৈনন্দিন ১১ মিলিগ্রাম জিঙ্ক প্রয়োজন।

জিঙ্কের ঘাটতি বুঝার উপায়

শরীরে জিঙ্কের অভাব অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্ষুধা হ্রাস এবং গন্ধ এবং স্বাদের অনুভূতি হ্রাস সহ বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে-

ক্ষত সারতে অনেক সময় লাগে:

জিঙ্ক শরীরের কোথাও কেটে গেলে দ্রুত রক্ত জমাট বাঁধতেও সাহায্য করে এটি। সময় মতো রক্ত জমাট না বাঁধলে ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। দেহে জিঙ্কের অভাব হলে সহজে ক্ষত শুকায় না।

ওজন কমে যায়:

আমাদের শরীরে জিঙ্কের অভাব হলে ক্ষুধা কমে যায়। এতে খাওয়া দাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার গ্রহণ না করলে ধীরে ধীরে ওজন কমে যেতে পারে।

চুল ও নখের সমস্যা:

চুল, মাথার ত্বক, নখ ইত্যাদি ভালো রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক। দেহে এই উপাদানের ঘাটতি হলে চুল পড়া বেড়ে যায়। জিঙ্কের ঘাটতির কারণে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, চুলের আগা ভেঙে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। অনেকের নখে আবার সাদা দাগ হয়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়:

যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তবে দেহে জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সর্দি কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, বয়স্ক ব্যক্তিদের জিঙ্কের অভাবে সংক্রমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

জিঙ্ক অক্সিডেটিভ স্ট্রেস উপশম করতে পারে এবং টি-কোষ এবং প্রাকৃতিক ঘাতক কোষের কার্যকলাপকে বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে পারে, যা আপনার শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

চোখের সমস্যা:

চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে জিঙ্ক। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়া, চোখে আবছা দেখা জিঙ্কের ঘাটতি জন্য দায়ী। এমন সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।