আলুর খোসার উপকারিতা।
আলু একটি সুষম ও পুষ্টিকর খাবার। অনেকেই রান্নার পর আলুর খোসা ফেলে দেন।
অন্য সবার মতো, আপনিও কি আলুর খোসা ময়লা আবর্জনায় ফেলেন? যদি ফেলে থাকেন, তাহলে আপনি বড় একটা ভুল করছেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্য সুপরিচিত, আলুর খোসা রূপচর্চায় অনেক বেশি উপকারী।
এছাড়া গাছের সার হিসাবেও কিন্তু আলুর খোসা খুব উপকারী। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, আলুর খোসায় রয়েছে কী কী উপকারিতা-
ত্বকের জন্য উপকারী:
চোখের নিচে আলুর খোসার রস লাগালে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যায়। আলু বার্ধক্যজনিত লক্ষণ, বিশেষ করে বলিরেখা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কার্যকর।
এছাড়া আলু ত্বকের কালো দাগ দূর করতেও সাহায্য করে। এমনকি দাগ এবং ব্রণ দূর করার জন্য আলুর খোসা ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের যত্নে:
আলু, চুল অকাল ধূসর হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। পানিতে আলুর খোসা সিদ্ধ করে পানি ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পর চুল ধুয়ে ফেলার জন্য এই পানি ব্যবহার করুন।
এতে চুলের প্রাকৃতিক রঙ ফিরে আসবে। চুল পড়া রোধ করতে আলুর খোসা ছাড়িয়ে রস বের করুন।
আলুর রসের সাথে ২ চামচ অ্যালোভেরা এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৩০ মিনিট পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
ভিটামিন “সি” -এর পাওয়ার হাউস আলুর খোসা। ভিটামিন “সি” একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
এছাড়া, আলুর খোসায় রয়েছে বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হার্ট ভালো রাখে:
যেহেতু আলুর খোসায় পটাসিয়াম থাকে। তাই আলুর খোসা খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
কারণ, পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে এবং সুস্থ্য হৃদয় বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলুর খোসার আরেকটি হার্ট-স্বাস্থ্যকর পুষ্টি হল ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড।
ডায়াবেটিস দূর করে:
আলুর খোসাতে উচ্চ পরিমানে ফাইবার রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে বাধা দেয়। খোসাসহ আলু খেলে তা দীর্ঘ সময় আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে।
আলুর খোসায় ফাইবার ছাড়াও আছে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হাড় মজবুত করে:
আলুর খোসায় রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, কপার এবং জিঙ্ক। যা হাড়কে মজবুত করতে ভূমিকা রাখে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
অনেকেরই ধারণা, আলু খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম মেনে আলু খেলে ওজন মোটেই বাড়ে না বরং কমে যায় ওজন।
আর আলুর খোসা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি ভিটামিন “বি”, “সি”, পটাসিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
তবে এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। তাই এটি নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ক্ষত নিরাময় করে:
আলুর খোসা ক্ষত নিরাময় করতেও অত্যন্ত সহায়ক। আলুর খোসায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ব্যাকটেরিয়ার অতিরিক্ত বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করে:
আলুর খোসায় শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল যৌগ, তথা টারপেনস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড বিদ্যমান।
এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।