আপনার ভোগদখলীয় সম্পত্তি জাল দলিল মূলে কেউ যদি দাবি করে তাহলে জেনে নিন আইনি প্রতিকার

আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি সম্পত্তির লোভে ছলে-বলে-কৌশলে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রকার জাল কাগজপত্র ও দলিল সৃষ্টি করে অন্যের সম্পত্তি দখল করার পায়তারা করে।

একটি দলিল বিভিন্নভাবে জাল করা হয়ে থাকে। সাধারণত অন্য আর এক জনের জমি কৌশলে তাকে ভুল বুঝিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে বা তার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে অথবা ঐ ব্যক্তির অগোচরে অন্য লোককে দাঁড় করিয়ে কোন দলিল করলে সেটি জাল দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।

তবে মূল কথা হলো জাল দলিল যে প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হোক না কেন এটি প্রকৃত মালিক বা তার ওয়ারিশদের পরবর্তী ভোগ দখলে অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাই আপনার কোন ভোগদখলীয় ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত বা ক্রয়কৃত কোন সম্পত্তি নিয়ে কোন প্রকার জাল দলিল তৈরি হয়েছে জানতে পারলে সাথে সাথে উক্ত জাল দলিলের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করুন এবং দেওয়ানী আদালতে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৯ ধারার বিধানমতে ঐ জাল দলিল বাতিলের জন্য মামলা করুন।

আর এই মামলা করার সাথে সাথে মামলা চলাকালীন ঐ জাল দলিল এর কার্যকারিতা আদালতের কাছে স্থগিত চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করলে ওই জাল দলিল দিয়ে মূল মালিকের মামলা চলাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত করার আর কোনো সম্ভাবনা থাকে না ।দলিল বাতিলের মামলা সাধারনত উক্ত জাল দলিল সম্পর্কে অবগত হবার ৩ বছরের মধ্যে করতে হয়।

আপনি ইচ্ছা করলে উক্ত জাল দলিলের সার্টিফাইড কপি দিয়ে ফৌজদারি আদালতে দণ্ড বিধির ৪২০, ৪০৬, ৪৬৩, ৪৭৩, ধারায় মামলা করতে পারেন। আপনি যদি দলিল বাতিলের মামলায় দেওয়ানী আদালত হইতে কোন প্রকার রায় পেয়ে থাকেন তাহলে আদালত সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উক্ত রায়ের কপি প্রেরণ করবেন আর সাব রেজিস্ট্রি অফিস তার রেজিস্ট্রি বালাম বইতে উক্ত দলিল বাতিলের বিষয় লিপিবদ্ধ করে আদালতের ওই রায় কার্যকর করবেন।