মাথা ঘোরা কমানোর ঘরোয়া উপায়।
মাথা ঘোরানো আসলে কোন অসুখ নয়। মাথা ঘোরার সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে। রক্তের চাপ কমে যাওয়া, হার্টের সমস্যা, রক্তস্বল্পতা, হাইপোগ্লাইসেমিয়া, হিটস্ট্রোক, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, মাইগ্রেন, উদ্বেগজনিত সমস্যা, মাথায় আঘাত ইত্যাদি কারণে মাথা ঘুরতে পারে।
এ ছাড়া পানিস্বল্পতা, মোশন সিকনেস, মানসিক চাপ, হরমোনের পরিবর্তন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা হতে পারে।
এটি যেমন হুটহাট করে শুরু হয় আবার ঠিক তেমনি হুটহাট করে চলেও যায়। কোনো একটি নির্দিষ্ট কারণে নয়, নানা কারণে আমাদের এই সমস্যা হতে পারে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিচে কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হল, যা মাথা ঘোরানোর সমস্যায় প্রতিষেধক হিসাবে খুবই উপকারী।
পানি পান করুণ :
প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে পানি পান করা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। পানিস্বল্পতার কারণে অনেক সময় মাথা ঘোরার সমস্যা হয়ে থাকে। মানসিক দুশ্চিন্তা দেখা দিলেও অনেক সময় প্রবল মাথা ঘোরা ভাব শুরু হয়। রক্তের পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে রক্তচাপ কমে যায়।
রক্তের পরিমাণ বারানোর জন্য প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিলেই দ্রুত পানি খেতে হবে।
আদা বা আদা-চা খান :
মাথা ঘোরার পাশাপাশি শরীরের নানা সমস্যা সমাধানে আদা খুব ভালো প্রাকৃতিক উপাদান। মাথা ঘোরা ভাব এবং বমি ভাবের ক্ষেত্রে খুব চমৎকার কাজ করে আদা। এটি মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, দ্রুত মাথা ঘোরার সমস্যা দূর করে। তাই মাথা ঘোরার সমস্যা হলে এক টুকরো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন। তার পাশাপানি চা এর ভিতর দিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া গরম জলের ভিতর আদার রস দিয়েও খেতে পারেন।
নিয়মিত ঘুম পড়ুন :
অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলেও মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। রাতের ভালো ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
মাথা ঘোরা দূর করতে প্রতিদিন নিয়ম করে রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুম পড়তে হবে। রাতে ঘুম ভালো হলে সারাদিনে সকল কাজ করতে ভালো লাগবে পাশাপাশি মাথা ঘোরানো দূর হবে।
আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে :
কচুশাক, কলমি শাক, পুদিনা পাতা, পুঁইশাক, মুলা শাক, ডাঁটা শাক, লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার শাকে প্রচুর আঁশ রয়েছে। সবজির মধ্যে বেশি আঁশযুক্ত সজিনা, কলার মোচা, ঢেঁড়স, ডাঁটা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, গাজর, শিম, পটল, কচু, বেগুন, বরবটি ও মটরশুঁটি।
মাথা ঘোরার সমস্যা দূর করার জন্য আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রোটিনযুক্ত মাংশ এবং মাছ খেতে হবে।
কোন বস্তুর উপর একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন :
মাথা ঘোরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া মাত্র যে কাজ করছিলেন সেই কাজ করা বন্ধ করে দিতে হবে। চুপচাপ বসে থেকে চোখের সামনে থাকা কোন একটা বস্তুকে লক্ষ্য করে সেই বস্তুর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হবে।
একদম নড়াচড়া না করার ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে দ্রুত। এতে করে বমি বমি ভাব এবং মাথাঘোরা ভাব কমে যাবে।