আগের বাহাদুরি এখন গেলো কই। এখনের বাহাদুরি যাবেনে কই।
লাইনটা আমাদের জীবনের অনেক ক্ষেত্রে মিলে যায়। সময় একরকম থাকে না। সময় সময়ের পরিক্রমায় রং বদলায়।
শৈশব, কৈশর বা যৌবনে আমরা যে রূপ যৌবনের বড়াই করি বৃদ্ধ বয়সে সেটা থাকে না।
একসময় যারা জমিদার ছিলেন তারা অনেক আরাম আয়েশে জীবন-যাপন করেছেন। সময়ের অর্থাৎ কালের স্রোতে সেগুলো হারিয়ে আজ স্মৃতি হয়ে রয়েছে।
তাই হয়তো লোকে বলে ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
ক্ষমতার দাপট দেখানো বা কোনো কিছু নিয়ে বড়াই করা উচিৎ নয়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।
গাছপালা কেটে ধংস করে, পুকুর, খাল, বিল জলাশয় ভরাট করে বিল্ডিং এর পর বিল্ডিং তুলে আমরা যে সভ্যতার নামে এগিয়ে চলেছি এটা একদিন নিজেদের জন্য বুমেরাং হয়ে না দাড়ায়।
সবকিছু তো একটা নিয়মে চলে। প্রকৃতির নিয়ম ভঙ্গ করে পরিবেশের বাস্তুসংস্থান নষ্ট করে আমরা এগিয়ে চলেছি। তাই অদূর ভবিষ্যতে আমাদের যে কঠিন দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হবে সেটা বুঝতে খুব বেশি মাথা খাটানো লাগে না।
প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে, অনেক কিছু দিয়েছে। উঁচু উঁচু বিল্ডিং থেকে কতনা যন্ত্রপাতি। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধে কেড়ে নিয়েছে। আসলে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতি আমাদের সমাজের জন্য প্রয়োজনীয়। সভ্যতার উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির অবদান অপূরণীয়।
কিন্তু আমরা কি কখনো অনুধাবন করে দেখেছি যে প্রযুক্তির অকল্যাণকর দিকগুলো আমাদের অবস্থান কোথায় নামিয়ে দিচ্ছে? অবশ্য এর জন্য আবিষ্কার ও আবিষ্কারক কোনোটিই অপরাধী নয়, অপরাধী হচ্ছি আমরা মানুষ নামক ব্যবহারকারীরা।
বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ৫০শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। ধারণা করা হয় ২০২০ সালের শেষ নাগাদ পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকের বেশি লোক ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আসবে |
বিটিআরসির (BTRC) হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি ছিয়াত্তর লাখ। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। প্রতি ১০ সেকেন্ডে একটি করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে যেটা বাংলাদেশের জন্মহারের চেয়েও বেশি।