ডাইনামিক ওয়েবসাইট কাকে বলে? ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা কি?

ডাইনামিক ওয়েবসাইট কাকে বলে?


যে সকল ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় পরিবর্তন করা যায়। অর্থাৎ, কোড পরিবর্তন না করেই কনটেন্ট যুক্ত, ডিলিট এবং আপডেট করা যায় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট বলে।

dynamic

অন্যভাবে বললে বলা যায়, যে সকল ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েবপেইজ লােডিং বা চালু করার পর পরিবর্তন করা যায় তাকে ডাইনামিক ওয়েবসাইট (Dynamic website) বলে।

ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য HTML, CSS এর সাথে স্ক্রিপ্টিং ভাষা যেমন- PHP বা ASP.NET ইত্যাদি এবং এর সাথে ডেটাবেজ যেমন- MySQL বা SQL ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধা ও অসুবিধা কি?


ডাইনামিক ওয়েবসাইটের সুবিধা সমূহ:
১. ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী ডাইনামিক ওয়েবসাইটের কনটেন্ট পরিবর্তন হতে পারে।
২. ওয়েবসাইট চালু অবস্থায় কোড পরিবর্তন না করেই কনটেন্ট যুক্ত, ডিলিট এবং আপডেট করা যায়।
৩. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে আকর্ষণীয় ও ইন্টারেক্টিভ লে-আউট তৈরি করা যায়।
৪. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে নির্ধারিত ব্যবহারকারীর জন্য নির্ধারিত পেইজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীর প্রোফাইল তৈরি করা যায়।
৫. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে তথ্য বা বিষয়বস্তু আপডেট খুব দ্রুত করা যায়।
৬. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে সার্ভার থেকে ক্লায়েন্টে এবং ক্লায়েন্ট থেকে সার্ভারে উভমুখী কমিউনিকেশন করা যায়।
৭. ডাইনামিক ওয়েবসাইট অনেক বেশী তথ্য বহুল হতে পারে। তাই নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।
৮. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীর নিকট হতে ইনপুট নেওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
৯. ডাইনামিক ওয়েবসাইট তুলনামুলক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি।
১০. টাইম, দেশ বা ইউজার ভেদে ডাইনামিক ওয়েবসাইট ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দেখাতে সক্ষম।
১১. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে কনটেন্ট চেঞ্জ করা সহজ। তাই ম্যানুয়ালি ডাটা চেঞ্জের প্রয়োজন পড়ে না।
ডাইনামিক ওয়েবসাইটের অসুবিধা সমূহ:
১. ডেটাবেজ ব্যবহৃত হয় ফলে ব্যবহারকারীর ব্রাউজারে লােড হতে বেশি সময় নেয়।
২. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে ডেভেলপ ও কন্ট্রোল করা তুলনামূলক জটিল।
৩. সব দিক বিবেচনা করে ডাইনামিক ওয়েবসাইটের খরচ তুলনামূলক বেশি।
৪. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে নিয়ন্ত্রণ ও উন্নায়ন করা তুলনামূলক জটিল এবং কঠিন।
৫. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে তথ্য হ্যাক এর সম্ভাবনা থাকে
৬. ডাইনামিক ওয়েবসাইটে পেজ বেশি থাকার ফলে লোডিং স্পিড স্লো হয়।