হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ কি কি।
হার্ট অ্যাটাক, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়, তখন ঘটে যখন হার্টের পেশীর একটি অংশ পর্যাপ্ত রক্ত পায় না। করোনারি আর্টারি ডিজিজ (CAD) হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ।
হৃদপিণ্ডের কেন্দ্রীয় মাংসপেশীতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হওয়াকে বলা হয় ‘হার্ট অ্যাটাক’। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ—এসব মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ।
হার্ট অ্যাটাক অধিকাংশ সময়ই প্রাণঘাতী হয়। সুস্থ জীবন যাপন এবং মানসিক চাপের মাত্রা হ্রাস করার মাধ্যমে আমরা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে পারি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ কি কি-
অবসাদ হওয়া:
ধমনী যখন সংকীর্ণ হয়ে যায় আপনার হার্ট স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম রক্ত পায়। তখন হার্টকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে বেশি শ্রম দিতে হয়। এতে করে আপনি সব সময় মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্ত এবং ঝিমুনি অনুভূতির সম্মুখীন হবেন।
বুকে ব্যথা হওয়া:
হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ হিসাবে আপনার বুকে ব্যথা হতে পারে। বুকে ব্যথার পাশাপাশি এক বা উভয় বাহুতেই অস্বস্তিকর ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও নীচের চোয়াল, ঘাড়, কাঁধ বা পেটে অস্বস্তিবোধ লাগতে পারে। বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাক বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে হয় যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় আবার ফিরে আসে।
নিঃশ্বাসের দুর্বলতা দেখা দেয়:
বুকে অস্বস্তি হওয়ার আগে শ্বাসকষ্টও হতে পারে। যখন আপনার হার্ট বা হৃদয় কম রক্ত পায়, তখন এটি আপনার ফুসফুসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে। এজন্য শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাসের দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া:
অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক সতর্কতামূলক লক্ষণ। এমন কি সবসময় বা শীতকালেও ঘাম হতে পারে। এই ঘামটি সাধারণত ঠান্ডা ঘাম দেখা যায়।
বদহজম ও বমি হওয়া:
হার্ট অ্যাটাকের আগাম লক্ষণ হিসাবে বদহজম ও বমি হতে পারে। ক্ষুধা কম লাগবে, হজম ক্ষমতা কমে যাবে এবং খাবার খেলে বদহজম হবে। তার সাথে কোন কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি হতে পারে।
অনিয়মিত হার্টবিট:
আপনি নার্ভাস বা উত্তেজিত হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টবিট বেড়ে যাবে। তবে যদি অনুভব করেন আপনার হার্টবিট মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময় ধরে নিয়মিত বেড়ে যাচ্ছে তবে এটি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
সুতরাং, আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি এসব লক্ষণসমূহের সম্মুখীন হোন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।