যেসব কারণে মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি হয়।
মেরুদন্ডের ব্যথা প্রচলিত একটি সমস্যা। আমাদের মেরুদণ্ড সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। তাই শরীরের বাকি অঙ্গ গুলির সাথে সাথে স্নায়ুতন্ত্রের প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখা উচিৎ। মেরুদণ্ডে গুরুতর সমস্যা হলে তা মানুষকে পঙ্গু পর্যন্ত করে দিতে পারে।
মেরুদণ্ড আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বর্তমানে দৈনন্দিন ব্যস্ততার চাপে মেরুদণ্ডের নানা সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
জেনে নিন এমনই কিছু অভ্যাস যা থেকে মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি হতে পারে।
শোয়ার অভ্যাসে:
খারাপ ভাবে শোয়ার অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে। অনেকেই ঘুমানোর সময় অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে শুয়ে থাকে। অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে পিঠ, কোমর বেঁকিয়ে শোয়ার এই অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি হয়। শক্ত বা অসমান বিছানায় দীর্ঘদিন ধরে শোয়ার অভ্যাস থাকলে মেরুদণ্ডের ব্যথা হতে পারে।
সঠিক নিয়মে ব্যায়াম না করার কারণে:
ওজন কমানো ছাড়াও ব্যায়াম স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে। কিন্তু বেশিভাগ সময়ে আমরা ব্যায়ামের সঠিক নিয়ম পালন করি না। যার ফলে মেরুদণ্ডের উপর বেশি চাপ পড়ে মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি সৃষ্টি করে।
একই জায়গায় অনেক সময় বসে থাকার কারণে:
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় অনেক সময় বসে থাকার কারণে মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি হতে পারে। সারাদিন চেয়ারে বসে অনেকেই কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
ধূমপানের কারণে:
ধূমপানের কারণে মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি হতে পারে। ধূমপান করার কারণে স্পাইনাল ডিস্কে সার্কুলেশন বাধাগ্রস্ত হয়, যার ফলে এটি পানিশূন্য হয়ে পড়ে ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণে ব্যর্থ হয়। এছাড়া ধূমপান অস্টিওপোরোসিসেরও ঝুঁকি বাড়ায় যা মেরুদণ্ডের ব্যথা বা ক্ষতি সৃষ্টি করে।
ঝুঁকে কাজ করা ও ভারি ব্যাগ বহন করার কারণে:
দীর্ঘ সময় ঝুঁকে বসে মোবাইল বা ল্যাপটপে ব্যাস্ত থাকলে মেরুদণ্ডে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলে মেরুদণ্ডে মারাত্মক ব্যথা বা ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া খুব ভারি ব্যাগ পিঠে নিলে অতিরিক্ত চাপ পড়ে এতে মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে।
ক্যালসিয়াম খাবার না খাওয়ার কারণে:
ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো দুগ্ধজাত খাবার। আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম খাবার না খেলে আপনার শরীর কোষের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেবে, যার ফলে হাড় দুর্বল হয়ে যাবে অথবা অস্টিওপোরোসিস হবে। দুগ্ধজাত খাবার ছাড়াও ক্যালসিয়ামের আরো কিছু ভালো উৎস হলো- সবুজ শাকসবজি, নরম হাড়ের মাছ ও ক্যালসিয়াম ফর্টিফায়েড খাবার।