কাশি হওয়ার কারণ ও দূর করার উপায়।
কাশি শব্দটি অতি সাধারণ হলেও এই শব্দটি বেদনাদায়ক হতে পারে। যদি কাশি অল্পতে না কমে তখন ভোগান্তির শেষ থাকে না। শুষ্ক কাশি অনেক বেশি ভয়ানক এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়। যদি কাশি ১ বা ২ সপ্তাহে না কমে তাহলে আপনার অতি দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অতিরিক্ত কাশি হলে কাশতে কাশতে গলায় ব্যথাও হতে পারে। তবে কাশির সাথে রক্ত পড়লে সেক্ষেত্রে ভিন্ন। তখন সাথে সাথে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
কাশির কারণ কী?
বিভিন্ন কারণে কাশি হতে পারে। নিচে কাশির কারণ দেওয়া হলো –
- কাশি গলা পরিষ্কার করার একটি আদর্শ উপায়। যখন শ্লেষ্মা, কফ আমাদের গলায় আটকে যায়, তখন কাশি দিয়ে আমরা তা পরিষ্কার করি।
- কাশির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যেমন সর্দি-জ্বর। এছাড়া কাশি করোনাভাইরাস রোগের (COVID-19) অন্যতম লক্ষণ।
- ধূমপান কাশির আরেকটি সাধারণ কারণ। ধূমপানের কারণে সৃষ্ট কাশি প্রায় সবসময়ই একটি স্বতন্ত্র শব্দ সহ দীর্ঘস্থায়ী কাশি।
- ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কাশির একটি সাধারণ কারণ হল হাঁপানি। হাঁপানির কাশিতে সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয়, এটি সনাক্ত করা সহজ।
- এছাড়া ভোকাল কর্ডের ক্ষতি হলে কাশি হতে পারে।
যদি কাশি ভাইরাস থেকে সৃষ্ট হয় তাহলে কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করা যায় না।
কাশি কমানোর উপায়
কাশি কমানোর উপায়গুলো নিচে দেওয়া হলো –
- প্রচুর পানি পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।
- ঘুমানোর সময় ২টা বালিশ দিয়ে মাথা উঁচু করে ঘুমান।
- কাশির ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।
- উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে শ্লেষ্মা কমে।
- ঠান্ডা লাগানো যাবেনা।
- লবঙ্গ, মধু বা আদা দিয়ে চা বানিয়ে খান।
রেফারেন্স: