সুস্থ্য সন্তান পেতে কি করবেন আর কি করবেন না।
সুস্থ্য সন্তান পেতে যা যা করণীয়:
- পরিবার পরিকল্পনার প্রথম থেকেই পরামর্শ নিয়ে চলুন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।
- হবু স্বামী-স্ত্রী থ্যালাসিমিয়ার স্ক্রিনিং টেস্ট করতে হবে।
- সম্ভাব্য ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুণমান যাচাই করে নিতে হবে।
- প্রথম সপ্তাহ থেকেই কোনও ফিটনেস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন।
- স্বামী-স্ত্রীর ওজন কম রাখার চেষ্টা করুন, বিশেষ করে স্ত্রীর মন সবসময় শান্ত রাখুন।
- যৌন রোগের আশঙ্কা থাকলে রক্ত পরীক্ষা করে এবং অন্যান্য পরীক্ষা করে চিকিৎসা নিন।
- হবু মায়ের রুবেলার প্রতিষেধক না নেওয়া থাকলে, স্ক্রিনিং টেস্ট করিয়ে প্রয়োজনে এমএমআর টিকা দিয়ে ৩ মাস অপেক্ষা করার পর গর্ভধারণ করুন।
- ভেরিসেলা বা চিকেন পক্সের স্ক্রিনিং অবশ্য কর্তব্য।
- HIV টেস্ট করিয়ে রাখতে হবে, নেগেটিভ হলে চিন্তা নেই। পজেটিভ হলে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- ডায়াবেটিস বা হাইপোথাইরয়েডিজম ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
- প্রি প্রেগন্যান্সির কাউন্সেলিং এর চাহিদা এখন তুঙ্গে, অবলম্বন করতে পারেন সে পথ।
সুস্থ্য সন্তান পেতে যা যা করা যাবে না:
- ওজন কিছুতেই বাড়তে দেওয়া চলবে না।
- জাঙ্ক ও প্রসেসড ফুড একদমই খাওয়া যাবে না।
- নেশা পরিত্যাগ করতে হবে। অতিরিক্ত মদ-সিগারেটে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।
- শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ডেঞ্জার পিরিয়ড বা ফার্টাইল পিরিয়ড কিছুটা বদলায়। তাই সন্তানধারণের আগে সম্পূর্ণ চেক আপ না করা হবেন না।
- ভেরিসেলা বা চিকেন পক্সের স্ক্রিমিং না করালে গর্ভপাত, সময়ের আগে প্রসব ও সন্তানের জন্মগত ত্রুটি থাকার আশঙ্কা থাকে।
- অবশ্যই ডায়াবেটিস ও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
- পরিবারের কোনও জেনেটিক অসুখ চিকিৎসকের কাছে লুকাবেন না।