মাইল্ড স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় কি?
শরীরের কোনো একদিকে দুর্বলতাবোধ করা বা শরীরের কোনো একদিক নাড়াতে না পারা, হাত-পায়ে অবশ ভাব, মুখ একদিকে বেঁকে যাওয়া, প্রচন্ড মাথাব্যথা হওয়া, কথা অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া।
এছাড়া বমি হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, মুখের অসাড়তা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, বেসামাল হাঁটাচলা, হঠাৎ খিঁচুনি বা ধপ করে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হলে বুঝতে হবে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মাইল্ড স্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় কি?
মাইল্ড স্ট্রোক হলে রোগীকে কাত করে শুইয়ে দিতে হবে। এ অবস্থায় কোনো খাবার বা ওষুধ একদমই মুখে দেয়া যাবে না।
কারণ এগুলো শ্বাসনালিতে ঢুকে আরও ক্ষতি করতে পারে। বরং মুখে জমে থাকা লালা, বমি পরিষ্কার করে দিতে হবে। শরীরে টাইট জামা-কাপড় থাকলে ঢিলা করে দিতে হবে।
এছাড়া স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে ধূমপান, জর্দা, গুল, মাদক পরিহার করতে হবে। ধূমপান রক্তনালি সংকুচিত করে স্ট্রোক ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরও পাঁচ বছর পর্যন্ত এই ঝুঁকি থেকে যায়।
স্ট্রোক প্রতিরোধের কার্যকরী উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। নিয়ম করে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এবং সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটতে হবে।
হাঁটার গতি হবে ঘণ্টায় চার মাইল, মিনিটে প্রায় ১০০ কদম। এছাড়া অ্যালকোহল, ভাঁজাপোড়া খাবার, দুশ্চিন্তা একদমই এড়িয়ে চলতে হবে।
যেহেতু স্ট্রোক ব্রেইনের রক্ত চলাচল কমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে তাই স্ট্রোকের চিকিৎসা তাৎক্ষণিকভাবে শুরু করে ওষুধ প্রয়োগ করে রক্তের চাপ, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে।
রক্তের জমাটবাঁধা অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করতে হবে। প্রাথমিক ধাপ কাটিয়ে ওঠার পর বহুদিন পর্যন্ত ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।
স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।