বাচ্চারা কোন কাজগুলো করলে সাথে সাথে থামিয়ে দেবেন।একটু অসতর্কতায় মহাবিপদ।

আপনার ছোট্ট বাচ্চা, আপনার প্রাণের ধন। আপনার সোনার মানিককে আপনি অনেক ভালোবাসেন। প্রত্যেকেরই জীবিকার তাগিদে বাইরে বেরোতে হয় অর্থাৎ আপনি তাকে বাসায় রেখে সারাদিন হয়তো অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকছেন।

বাচ্চাদের অনুসন্ধিৎসু মন সবসময় যেটা দেখে সেটাতেই হাত দেয় বা মুখে দেয়। বাচ্চারা জানে না কোন জিনিসটা তাদের জন্য ভাল এবং কোন জিনিসটা তাদের জন্য খারাপ। যেমনঃ পোকামাকড়, টিকটিকির পায়খানা,  প্লাস্টিকের খেলনা কামড়ানো, মাটি মুখে দেয়া, মাটিতে খেলা, ধারালো কোন কিছু দিয়ে খেলা অবশ্যই বড় একটা বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আসলে আমরা বাচ্চাদের এতটাই চোখে চোখে রাখি তারপরও অনেক আকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায়। যেমনঃ পয়সা নিয়ে খেলতে খেলতে পয়সা গিলে ফেলা। সেফটি পিন গলায় আটকে যাওয়া। তারা মূলত জানে না এসব করার ফলে তাদের কি কি অসুবিধা হতে পারে। তাই তাদের সবসময় খেয়াল রাখা ও বড়দের নজরদারির ভেতরে রাখা উচিত।

ছোট্ট অবুঝ শিশু বিপদে পড়ুক এটা আমরা কেউই তা চাই না, তাই যদি কখনও কোন বাচ্চাকে এগুলো করতে দেখেন সাথে সাথে তাকে থামাবেন।

আমাদের সকলেরই কিছু খারাপ অভ্যাস আছে। আমাদের বাচ্চারাও এর থেকে আলাদা নয়। কিছু জিনিস, যেমন: নখ কামড়ানো এবং কলমের মুটকি মুখ দিয়ে চিবানো এরকম আরো অনেক কিছু। সাথে সাথে বোঝান এবং থামিয়ে দিন, তা না হলে বছরের পর বছর আপনার সন্তানকে প্রভাবিত করবে।

W- পজিশনে বসা সেই অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি। এবং এটি এমন একটি যা আপনি উপেক্ষা করতে পারবেন না।

কেন কিছু বাচ্চারা ডব্লিউ-সিটিং পজিশন পছন্দ করে?

ডব্লিউ-সিটিং এর কিছু সুবিধা রয়েছে। কিন্তু এর অসুবিধা অনেক বেশি।

wposition.

কেন থামাবেন? চলুন জেনে আসি-

বাচ্চা W পসিশনে বসলে বসার পজিশন পরিবর্তন করে দিন। আপনি হয়তো ভাবছেন এভাবে বসলে ক্ষতিটা কি? আগে আপনাদের বসার ধরণটা ব্যাখ্যা করি। এই বিশেষ পজিশনে বসলে পায়ের গোড়ালি শরীরের পেছনের দিকে এবং হাঁটু সামনের দিকে থাকে। হাঁটুর অংশে একটা V এর আকৃতি নেয় এবং দুই পা মিলিয়ে W এর আকার নেয়।

এখন বলবো এভাবে বসার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে। প্রথমত, এভাবে বসলে খুব জলদি শরীরে ক্লান্তি চলে আসে। কারণ এভাবে বসলে প্রচুর শক্তি খরচ হয়। তাই বাচ্চারা অলস অনুভব করবে।

এটা বাচ্চাদের পায়ের অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। পায়ের পেশিকে টান টান করে দিবে যা বাচ্চাদের জন্যে মোটেও ভাল না।

এটা আরো খারাপ হবে যখন কেউ লম্বা সময় ধরে এভাবে বসে। এভাবে দীর্ঘসময় বসে থাকলে বাচ্চার স্নায়ুবিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। স্নায়ুবিক সমস্যা মানেই মগজের সাথে জড়িত এবং এটা কখনই এড়িয়ে যাওয়ার মত বিষয় না।

এটার ফলে পায়ের পেশি অসাড় করে দিবে এবং পায়ের অঙ্গবিন্যাস নষ্ট করে দিতে পারে। কারণ পায়ের পেশি এবং হাড় অনেক নরম।

দীর্ঘদিন ধরে এভাবে বসার ফলে আপনার শরীর সমন্বয় এবং ভারসাম্য হারাবে। এর সাথে সাথে ঘটতে পারে হিপ ডিসপ্লেসিয়া বা কোমরের হাড়ের সাথে পায়ের হাড়ের অবস্থান পরিবর্তন। এর ফলে একটা স্বতস্ফুর্ত শিশুর ভবিষৎ একেবারে বদলে যেতে পারে।