জলাতঙ্ক রোগের কারণ ও লক্ষণ।

জলাতঙ্ক মারাত্মক একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে বাঁচানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে জলাতঙ্কের কারণে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং লাখ লাখ প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।

তবে বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার কারণে কিছুটা হলেও এর সুরাহা করা যায়।

জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন প্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর।

জলাতঙ্ক রোগের কারণ

রেবিস (Rabies) ভাইরাস ঘটিত একটি মারাত্মক রোগ হলো জলাতঙ্ক। কুকুর, বিড়াল, বানর, বাদুড়, বেজি ইত্যাদি প্রাণীরা রেবিস ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এবং এরা মানুষকে কামড়ালে এই রোগ হয়।

এটি এক প্রাণী থেকে আরেক প্রাণীর দেহে স্থানান্তরিত হতে পারে তার লালা বা রক্তের দ্বারা। এদের মুখের লালায় রেবিস ভাইরাসের জীবাণু থাকে।

কোনোভাবে তা সুস্থ প্রাণীর রক্তের সংস্পর্শে আসলে, রক্তের মাধ্যমে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগের সৃষ্টি হয়।

বেশিরভাগ জলাতঙ্ক রোগই হয় কুকুর কামড়ালে। এই রোগ মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে প্রভাবিত করে।

জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ

আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির মধ্যে যে যে লক্ষণ দেখা যায় –

জ্বর হয়, ক্ষুধা লাগে না।
মাথা ব্যথা করে ও বমি বমি হয়।
ক্ষতস্থানে ব্যাথা ও চুলকানি হওয়া।
গিলতে অসুবিধা ও অতিরিক্ত লালা ঝরা।
ঢোক গেলার সময় ডায়াফ্রাম, রেসপিরেটোরি মাসল ও কণ্ঠনালির তীব্র ব্যথাযুক্ত সংকোচন হয়। বিশেষ করে পানি পান করার চেষ্টা করলে ব্যথা করে।
পানি গিলতে অসুবিধার কারণে, পান পানে ভয় বা আতঙ্ক আসে।
শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়ানোর অক্ষমতা, চেতনাশূন্যতা।
অনিদ্রা বা ঘুম কমে যাওয়া।
গলা ব্যথা এবং কাশি।

যদি কুকুরে কামড়ানোর ১০ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো প্রকাশ না পায়, তবে কুকুরটি রেবিস (Rabies) ভাইরাসে আক্রান্ত নয় বলে মনে করতে হবে। এক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

যদি কামড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা বেশি হয় এবং হাত, মাথা, মুখ ও ঘাড়ে কামড়ায় তবে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ও প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু করতে হবে।

রেফারেন্স: