গর্ভাবস্থায় ব্রণ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার।

গর্ভাবস্থা ব্রণ সংক্রমণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয় ও আগে থেকে ব্রণ থাকলে তার প্রকোপও বৃদ্ধি করে। গর্ভাবস্থায় দেহে কিছু হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নতুন ব্রণের সংক্রমণ বাড়তে পারে কারণ এটি তৈলগ্রন্থিকে অধিক কার্যকর করে তোলে ও তৈলগ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত পরিমানে সিবাম নিঃসৃত হয়।

অতিরিক্ত নিঃসরণ ত্বকের মৃতকোষের সাথে মিশে লোমকূপগুলোর ওপর আবরণ সৃষ্টি করে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয় ও ব্রণের সংক্রমণ বাড়ায়।

গর্ভাবস্থার পরে ব্রণ কি স্বাভাবিক?

গর্ভাবস্থার পরে ব্রণ হওয়া স্বাভাবিক। গর্ভাবস্থায় শরীরে যে হরমোনীয় পরিবর্তন ঘটে এবং এর সাথে সম্পর্কিত উত্থান–পতনের কারণে এটি ঘটে। এতে ত্বকের গঠন এবং অবস্থারও পরিবর্তন হয়, তাই ব্রণগুলি নতুন মায়েদের মধ্যে বেশ সাধারণ।

গর্ভাবস্থায় ব্রণ সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আপনি কি করতে পারেন?

মূলত, এ সমস্যাকে পুরোপুরি প্রতিরোধ করার কোনো উপায় নেই তবে এ সম্পর্কিত নিম্নোক্ত টিপস আপনাকে সাহায্য করতে পারে:

  • বার বার মুখ ধুয়া দিয়ে দিনে অন্তত তিন বার মুখ ধুয়া।
  • মুখ ধোয়ার পর আলতো ভাবে মুখ মুছে নিন।
  • অয়েল ফ্রি বা তৈলাক্ত নয় এমন ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করতে করুন।
  • নখ দিয়ে ব্রণ খুঁটবেন না অথবা চাপবেন না। এতে করে ত্বকের ওপর ব্রণ স্থায়ী ক্ষত বা দাগ হতে পারে।
  • ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই খুব ভালো ভাবে ত্বক থেকে প্রসাধনী উঠিয়ে ফেলুন ও মুখ ধুয়ে নিন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পড়তে হবে।
  • বেশি করে পানি পান করতে হবে।

মনে রাখবেন যে, আপনার গর্ভাবস্থা আপনার ত্বকের শত্রু নয়। হয়তো এ অবস্থায় আপনাকে দু’একটি নতুন ব্রণের সাথে খাপ খাওয়াতে হতে পারে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত পানি পান ও দেহে অধিক রক্ত সঞ্চালনের জন্য আপনার ত্বকের সৌন্দর্য্য ও জৌলুস অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।