কোনগুলো পানিবাহিত রোগ? পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়।
অপরিশুদ্ধ পানি পান করার মাধ্যমে অথবা সেই পানি রান্নার কার্যে ব্যবহার করার ফলে যে ধরনের ব্যাধি সংক্রামিত হয়ে থাকে তাকেই বলা হয় পানিবাহিত রোগ বা জলবাহিত রোগ। এই ধরনের অসুখ সাধারণত পানিতে বিচরণশীল রোগসৃষ্টিকারী জীবাণুদের দ্বারা সংঘটিত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে প্রত্যেক বছর পৃথিবীতে প্রায় দশ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় পানিবাহিত রোগের কারণে। এই রোগ সংক্রমণের মূল কারণ হল উন্নয়নশীল দেশগুলিতে অপরিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং পরিচ্ছনতার অভাব।
বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের প্রায় সকল উন্নয়নশীল দেশের গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসচেতনতার অভাবে পানিবাহিত রোগ বা জলবাহিত রোগ হয়। উক্ত অঞ্চলসমূহের মানুষ বিভিন্ন জলাশয়ের পানি পান করে থাকে এবং রান্নার কার্যে তা ব্যবহার করে।
আবার স্নান, কাপড় কাঁচা এবং গবাদি পশুর স্নান সেই একই জলাশয়ে করে থাকে। এর ফলে জলাশয়ের পানি দূষিত হয় এবং সেই পানি মানবশরীরে প্রবেশ করার ফলে বিভিন্ন প্রকার পানিবাহিত রোগ সৃষ্টি হয়।
পানিবাহিত রোগগুলোর ভিতর অন্যতম হলো-
- ডায়রিয়া
- আমাশয়
- টাইফয়েড
- জন্ডিস
- কলেরা
- জিয়ারডিয়া
- প্যারাটাইফয়েড জ্বর
- রক্ত আমাশয়
- কলাইজনিত ডায়রিয়া
- ফুডপয়োজনিং
পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয় কি?
যেসব রোগ পানিবাহিত তা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো –
- আমাদের একটু সচেতনের ফলে প্রতিরোধ করা সম্ভব পানিবাহিত রোগ বা জলবাহিত রোগের।