কিডনিতে পাথর হতে পারে যেসব খাবার থেকে।
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। এছাড়া সুস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্যকর খাবারের বিকল্প নেই। কিন্তু অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হতে পারে কিডনিতে পাথর। বর্তমানে অনেকেই কিডনিতে পাথর হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বাঁচতে চাইলে কিছু খাবার বেশি বেশি খেতে হবে আবার কিছু খাবার পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে।
সবজি, ফল, পূর্ণ শস্য, নিম্ন-চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, পোল্ট্রি, শিম, মাছ, বাদাম এবং বীজ জাতীয় খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। এছাড়া সোডিয়াম এবং সুগার কম আছে এমন খাবার খেতে হবে।
আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক, কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কোন খাবার গুলো সবসময় এড়িয়ে চলতে হবে-
সোডিয়াম:
আপনি যদি কিডনিতে পাথর গড়ে উঠতে দিতে না চান তবে প্রথমেই সোডিয়াম খাওয়া কমাতে হবে। যেমন- লবণ খেতে হবে হিসাব করে এবং জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর লবণ দেওয়া হয়।
ভিটামিন “সি”:
ভিটামিন “সি” আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি। কিন্তু ভিটামিন “সি” অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে অক্সালেট উৎপাদন করে যার ফলে কিডনিতে পাথর গড়ে ওঠে। তাই প্রতিদিন ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা যাবে না।
কোমল পানীয়:
কোমল পানীয় লোভনীয় জিনিস বটে। কিন্তু কোমল পানীয়তে যে সোডা থাকে তাতে থাকে ফসফোরিক অ্যাসিড। কোমল পানীয়তে, ফসফরিক এসিডে উচ্চ স্তরের রয়েছে, যা কিডনি পাথর এবং কিডনির অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করে। ২০০৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন দুই বা ততোধিক কোল্ড ড্রিংক খেলে কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কিডনি সবসময় আমাদের শরীরে ফিল্টারের কাজ করে যাচ্ছে। ক্রমাগত যদি তাকে সোডা, অ্যাসিড ফিল্টার করতে হয় তাহলে সেতো একসময় দুর্বল হয়ে পড়বে। এবং কিডনিতে আস্তে আস্তে পাথর জমতে শুরু করবে। তাই কোমল পানীয় বেশি পান থেকে বিরত থাকুন।
প্রাণিজ প্রোটিন:
প্রাণিজ প্রোটিন শরীরের জন্য দরকার আছে। তবে তা সীমিত পর্যায়ে রাখুন। কেননা, প্রাণিজ প্রোটিন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় এবং সিট্রেইটের মাত্রা হ্রাস করে। সিট্রেইট কিডনিতে পাথর গড়ে উঠতে বাধা দেয়, যেখানে ইউরিক অ্যাসিড পাথর গঠনে সাহায্য করে। মাংস, ডিম, পনির এবং মাছ খাওয়া সীমাবদ্ধ করুন, কারণ এগুলি কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
উচ্চহারে চর্বিযুক্ত খাবার:
উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার কিডনিতে পাথর হওয়ার জন্য দায়ী। আর তাই পনিরের মতো উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়াও বাদ দিতে হবে। তার চেয়ে বরং কম চর্বিযুক্ত খাবার খান।
ক্যালসিয়াম জাতীয় খাদ্য:
আপনার যদি কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়াম উচ্চমাত্রায় আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খুবই স্বল্প পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
অ্যালকোহল:
কিডনিতে পাথর হওয়ার সঙ্গে সরাসরি জড়িতে না হলেও অ্যালকোহল কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এতে আছে পিউরিন উপাদান যা ইউরিক এসিড পাথর তৈরি করতে পারে। এছাড়া অ্যালকোহল কিডনির কর্মক্ষমতা নষ্ট করে।