কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন।

কার্বন মনোক্সাইড (Carbon Monoxide) আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করা প্রয়োজন।

কাঠ, কয়লা, গ্যাস, মোটরগাড়ি, তাপশক্তি উৎপন্নকারী যন্ত্র, রান্নার চুলা থেকে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে। সাধারণত জৈব বস্তুর অসম্পূর্ণ দহনের ফলে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়।

গন্ধ দ্বারা এই গ্যাসটি সনাক্ত করা যায় না। এই গ্যাসের সংস্পর্শে আসলে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও হতে পারে। তাই আমাদের সকলের কার্বন মনোক্সাইড সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করার কিছু পদক্ষেপ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল:

  • ফার্নেস এবং গরম জলের হিটার চেক আপের সময়সূচী করুন। বছরে একবার গ্যাস এর চুলা এবং গরম জলের হিটারগুলো পরীক্ষা করা উচিত।
  • প্রতিটি বাড়িতে এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে একটি কার্বন মনোক্সাইড অ্যালার্ম থাকা জরুরী। ডিজিটাল ডিসপ্লে সহ অ্যালার্মগুলো অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে। কার্বন মনোক্সাইডের স্তর ডিজিটাল ডিসপ্লেতে দেখাবে। কার্বন মনোক্সাইডের স্তর বেড়ে গেলে অ্যালার্ম ট্রিগার হবে।
  • প্রতি পাঁচ বছরে কার্বন মনোক্সাইড অ্যালার্মটি প্রতিস্থাপন করা উচিত। আপনি ভ্রমণের সময় কার্বন মনোক্সাইড অ্যালার্ম সাথে নিতে পারেন।
  • কার্বন মনোক্সাইডের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। কার্বন মনোক্সাইডের বিষ আমাদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে কোন আগাম সংকেত ছাড়াই।

কার্বন মনোক্সাইডের সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে:

র্কাবন মনোক্সাইড বিষয়ক্রিয়া সাধারণত শ্বসনের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড (CO) গ্রহণের ফলে সৃষ্টি হয়। এধরনের বিষক্রিয়ার লক্ষণের সাথে প্রায় সময়-ই সর্দি-কাশির লক্ষণের মিল পাওয়া যায়। প্রচলিত লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে

  • মাথাব্যথা।
  • ক্লান্তি।
  • বিভ্রান্তি।
  • মাথা ঘোরা।
  • ব্যথা।
  • বমি করা।
  • বুকে ব্যথা।
  • এমনকি চেতনা হারানো।

খুব বেশি মাত্রায় কার্বন মনোক্সাইড গ্রহণের ফলে অ্যারিথমিয়া, খিঁচুনি বা মৃত্যুর পর্যন্ত হতে পারে।

রেফারেন্স: