ওজন কমাতে কোন দেশের ডায়েট সিক্রেট কেমন জেনে নিন।
ওজন কমাতে আমরা ডায়েট করি, পাশাপাশি শরীরচর্চা করি। বাঙালিরা স্বাভাবিক ভাবে ওজন কমাতে গিয়ে ভাত, রুটিসহ কার্বোহাইড্রেট খাবার কমিয়ে প্রোটিনজাতীয় বা নিরামিষভোজী হয়ে থাকেন। তবে বিশ্বের অন্যান্যরা একই নিয়ম মানেন না, এ বিষয়ে হয়তো অনেকেরই ধারণা কম। আপনি জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষেরা ওজন কমাতে ভিন্ন রীতি ও নিয়ম মেনে চলেন। সেসব দেশের ডায়েটেরই প্রচুর গুণ রয়েছে। মেনে চলতে পারলে ওজন কমবেই।
জেনে নিন বিভিন্ন দেশের ডায়েটের সিক্রেট সম্পর্কে:
পোল্যান্ড ঘরের তৈরি খাবার ব্যবহার করে : :
ঘরের খাবার সবসময়ই স্বাস্থ্যকর হয়। আর এ অভ্যাসই পোল্যান্ডবাসীদের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তারা স্ট্রিট ফুড বা রেস্তোরাঁর খাবার এড়িয়ে চলেন। তারা ঘরেই স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন খাবার রান্না করে খেয়ে থাকেন। ওজন কমাতে চাইলে তাই বাড়ির তৈরি খাবার খেতে পারেন। পোল্যান্ডবাসীদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ রেস্তোরাঁর খাবার খেতে পছন্দ করেন।
তুরস্কবাসীর পছন্দ চা : :
দুধ চা বাদে ভেষজ সব ধরনের চা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চায়ে থাকে নানা রকম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের ক্ষতিকর টক্সিনকে বাইরে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। তুরস্কে খুব ভালো মানের চা পাওয়া যায়। সেখানকার অধিকাংশ মানুষ চা প্রেমী। ওজন কমাতে তারা প্রচুর পরিমাণে চা পান করেন। তুরস্কবাসীর কাছে গ্রিন টি আর ব্ল্যাক টি খুবই জনপ্রিয়।
জার্মানিদের সকালের খাবার : :
জার্মানবাসী সকালের খাবারকে গুরুত্বপূর্ণ আহার হিসেবে বিবেচনা করে। সময় নিয়ে এবং ভালো-মন্দ রান্না করে সকালের খাবার উপভোগ করেন তারা। কারণ তারা মনে করেন, সকালের খাবার সারাদিনের এনার্জি দেয়। সকালের খাবারে তারা ওটস, ডালিয়া, ফল, যব, গম এসব খাবার বেশি করে খান। আর এ কারণেই তাদের ওজন থাকে নিয়ন্ত্রিত। যদিও অধিকাংশ জার্মানিরা হৃদরোগে বেশি ভোগেন।
থাইল্যান্ডবাসীর ঝাল খাবার : :
ঝাল খাওয়া নিয়ে বাঙালিদের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন ঝাল খাবার খেলে পেটের পীড়া বাড়বে! যদিও ঝালজাতীয় খাবার খেতে সবাই কমবেশি পছন্দ করেন। তবে কখনো ভেবে দেখেছেন কি? ঝাল খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনই ধারণা করেন থাইল্যান্ডবাসী। তাই তাদের খাবারে পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে ঝাল যুক্ত স্পাইসি খাবার।
তবে তারা খুব ধীরে ধীরে খাবার খান। এ কারণে তাদের মেটাবলিজম রেট বেশি। রান্নায় এরা এমন কিছু ভেষজ উপাদান বা মশলা ব্যবহার করেন, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। থাইল্যান্ডের খাবার খুব ঝাল দিয়ে তৈরি হয়।
হাঙ্গেরিয়ানরা খান আচার : :
খিচুরির সঙ্গে আচার খাওয়ার মজাই আলাদা। সে স্বাদ আমাদের জানা থাকলেও জানে না হাঙ্গেরিয়নরা। তবে আমরা যেভাবে আচার খাই সেভাবে খেলে ওজন কখনো কমবে না বরং বাড়বে। হাঙ্গেরিনরা যেভাবে আচায় খায় সেভাবে খেলে ওজন কমবে খুব দ্রুত। তারা বাড়িতে নানা রকম আচার তৈরি করে। বিভিন্ন ফল ও সবজি দিয়ে তারা আচার বানায়।
আর এ আচার খেয়েই তারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এমনিতেই আচার আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রক্তচাপ, ব্লাডসুগার, শরীরের যেকোনো জ্বালা-প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখে আচার। সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে।