আবুল হোসেনের ঘুড়ি কবিতা।

“ঘুড়ি এক প্রকারের হাল্কা খেলনা, যা সুতা টেনে আকাশে ওড়ানো হয়। পাতলা কাগজের সাথে চিকন কঞ্চি লাগিয়ে সাধারণত ঘুড়ি তৈরি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন উপাদান ও নকশার ঘুড়ি রয়েছে। বিশ্বজুড়েই ঘুড়ি ওড়ানো একটি মজার খেলা। এছাড়াও বহু দেশে ঘুড়ি ওড়ানোর উৎসব ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান প্রভৃতি দেশে ঘুড়ি ওড়ানো একটি বিনোদনমূলক অবসর বিনোদন। বাংলাদেশে, বিশেষ করে পুরনো ঢাকায় পৌষ মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব পালন করা হয়।”

ঘুড়ি

আবুল হোসেন

—————————

ঘুড়িরা উড়িছে বন মাথায়।
হলুদে সবুজে মন মাতায়।
গোধুলির ঝিকিমিকি আলোয়
লাল-সাদা আর নীল কালোয়
ঘুড়িরা উড়িছে হালকা বায়।

ঘুড়িরা উড়িছে হালকা বায়,
একটু পড়িলে টান সুতায়
আকাশে ঘুড়িরা হোঁচট খায়।
সামলে তখন রাখা যে দায়,
উঠিছে নামিছে টালমাটাল।
ভারি যে কঠিন ঘুড়ির চাল।

ভারি যে কঠিন ঘুড়ির চাল,
সাধ্যি কি চিল পায় নাগাল!
প্যাঁচ লেগে ঘুড়ি কেটে পালায়
আকাশের কোথা কোন কোণায়।
ঘুড়িরা পড়িছে হাতেতে কার,
খবর রেখেছে কেউ কি তার?