ফোড়া হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ।

ফোড়া হল জমে থাকা পুঁজের গঠন। এটি আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। এটি মাইক্রো-অরগ্যানিজম বা সূক্ষ্ম জীব, তরল পদার্থ এবং মৃত কোষে ভরা।

এটি সাধারণত আমাদের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে হয়ে থাকে। ফোড়া আমাদের শরীরের যে কোন স্থানে হতে পারে। ফোড়া সাধারণত ২ ধরণের হয়ে থাকে। যেমন: ত্বকের ফোড়া এবং অভ্যন্তরীণ ফোড়া।

ত্বকের ফোড়া যা আমাদের ত্বকের নিচে হয়ে থাকে। অভ্যন্তরীণ ফোড়া যা আমাদের শরীরের ভিতরে হয়ে থাকে বা কোন অঙ্গে বা অঙ্গগুলির মধ্যবর্তী স্থানে বিকাশ লাভ করে থাকে।

ফোড়া হওয়ার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল

ফোড়া হওয়ার কারণ

  • বেশিরভাগ ফোড়া আমাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। যখন আপনার শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে, তখন ইমিউন সিস্টেম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আক্রান্ত স্থানে শ্বেত রক্ত ​​কণিকা পাঠায়।
  • যখন শ্বেত রক্তকণিকা ব্যাকটেরিয়াকে আক্রমণ করে তখন তার কাছাকাছি কিছু টিস্যু মারা যায় এবং একটি গর্ত তৈরি করে যা পুঁজ দিয়ে পূর্ণ হয়ে ফোড়া সৃষ্টি করে।
  • অভ্যন্তরীণ ফোড়াগুলি জটিলতা সৃষ্টি করে। যেমন, অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কারণে অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে গেলে ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলীর ভিতরে ছড়িয়ে গিয়ে ফোড়া তৈরি করতে পারে।

ফোড়া হওয়ার লক্ষণ:

ত্বকের ফোড়াগুলি প্রায়শই ত্বকের পৃষ্ঠের নীচে একটি ফোলা, পুঁজ-ভরা পিণ্ড হিসাবে উপস্থিত হয়ে থাকে। অনেক সময় আপনার সংক্রমণের অন্যান্য উপসর্গও থাকতে পারে, যেমন ঠান্ডা লাগা এবং উচ্চ মাত্রায় জ্বর।

শরীরের অভ্যন্তরে ফোড়া সনাক্ত করা কঠিন।

লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • প্রভাবিত জায়গায় ব্যথা হওয়া।
  •  উচ্চ তাপমাত্রায় জ্বর হওয়া।
  • অসুস্থ বোধ হওয়া।

ত্বকের ফোড়া প্রতিরোধ:

  • ত্বক পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং ব্যাকটেরিয়ামুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে।
  • আপনার হাত নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।
  • আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
  • ফোড়া থেকে পুঁজ বের করার সময় খেয়াল রাখবেন যেন পুঁজ আপনার শরীরের কোন স্থানে না লাগে। কারণ এটি আপনার ত্বকের অন্যান্য অংশে লেগে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।
  • স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা।
  • যদি আপনার ওজন অতিরিক্ত হয় তাহলে ওজন কমান।
  • ধূমপান এড়িয়ে চলুন।

Reference:
https://www.nhs.uk/conditions/abscess/