যেসব ওষুধ গুলো সবসময় ঘরে রাখা দরকার?
আমরা যে কোনো সময় হটাৎ করেই অসুস্থ হতে পারি। অসুখ বলে আসে না। তাই অসুখের ব্যাপারে সব সময় আামাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ছোট-খাটো অসুখ হয়ে থাকে যেমন, হালকা জ্বর, সর্দি, কাশি বা কেটে যাওয়া ইত্যাদি।
এমন কিছু অসুখ আমরা ঘরে বসেই কিছু ওষুধের মাধ্যমে সারাতে পারি। এসব ওষুধ আমরা বাসায় রাখতে পারি।
তবে অসুখ যেমনই হোক না কেন ছোট হোক বা বড় তার জন্য আমাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে এসব ওষুধ বাসায় রাখার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
যেসব ওষুধ গুলো ঘরে রাখা দরকার তা নিচে আলোচনা করা হলো
প্যারাসিটামল (Paracetamol):
যদি হালকা জ্বর হয় তাহলে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। যদি জ্বর বাড়ে এবং ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকে তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
যদি পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের কোন লক্ষন দেখা দেয় তাহলে প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না এবং দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
এসোমিপ্রাযল/ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/Omeprazole):
আমরা অনেক সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগে থাকি। এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায়তা করে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় গ্যাসের সমস্যার জন্য হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়ে থাকে।
৩০ মিনিটের মধ্যে যদি অবস্থার উন্নতি না দেখা দেয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ওরস্যালাইন(Oral Rehydration Saline):
ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রতিবার পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন খাওয়া উচিত।
যদি শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় তাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত যদি আপনার ডায়রিয়ার সাথে জ্বরও হয়।
আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে ওরস্যালাইন খাওয়ার আগে রক্তচাপ মেপে নেওয়া উচিত।
ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন (Fexofenadine/Rupatadine):
এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস আছে তারা রাতে একবার এটি খেয়ে নিলে হাঁচি এবং নাক থেকে পানি পড়া কমে যাবে।
সিল্ভার সালফাডিয়াযিন (Silver sulfadiazine):
যদি হালকা পুড়ে যায় তাহলে প্রথমে পোড়া জায়গায় পানি ঢালুন। পানি শুকানোর পর পোড়া জায়গায় সিলভার সালফাডিয়াযিন অয়ন্টমেন্ট লাগিয়ে দিন।
যদি ফোসকা পড়ে তাহলে উঠাবেন না। বেশি পুড়ে গেলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পভিডন-আয়োডিন মলম (Povidone-iodine ointment):
ছোটখাটো কাটা-ছেড়ার জন্য শুকনা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ক্ষতটি চেপে ধরে রাখুন। রক্ত পড়া বন্ধ হলে কাটা জায়গায় পভিডন-আয়োডিন অয়ন্টমেন্ট লাগিয়ে দিন।
যদি আপনি ব্লাড থিনার নিয়ে থাকেন বা অনেক বেশি কেটে যায় তাহলে আপনার ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে।
ট্রামাডল (Tramadol):
কোন রকম ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেওয়া যায়। অ্যাসমা রোগীরাও এটা নিতে পারেন।
টাইমোনিয়াম সালফেট (Tiemonium sulphate):
কোন প্রকার পেটে ব্যাথার জন্য এটি নেওয়া যেতে পারে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কিছু দিনের ব্যাথার জন্য এটি কার্যকর।
যদি কারো অ্যালার্জি থাকে তাহলে উপরোক্ত ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় অনেক ওষুধ খাওয়া যায় না এ বিষয়ে সতর্ক হন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।