মাইল্ড স্ট্রোকের পর বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, কেন?
হঠাৎ কারও মুখ বাঁকা হয়ে গেলে, তার কথা বলার সময় কথা জড়িয়ে গেলে, চোখে ঠিকমতো না দেখলে বা অস্পষ্ট দেখলে অথবা এক হাত-পা অবশ হয়ে গেলে, দুর্বলতা বোধ করলে এগুলো স্ট্রোকের লক্ষণ।
অনেক সময় এ লক্ষণগুলো বোঝা যাই না। কখনো কখনো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে। সিটিস্ক্যান করলে তেমন কিছু পাওয়া যায় না। সাধারণ মানুষ এটাকে ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ বলে।
মাইল্ড স্ট্রোকের পর বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি:
হৃদ্রোগ, ধূমপান, বয়োবৃদ্ধ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে চর্বি বেশি থাকা, স্থূলতা, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি থাকলে রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
স্ট্রোকের উপসর্গগুলো দেখা দিলে সচেতন হতে হবে। অনেক সময় কেউ হঠাৎ খুব অল্প সময়ের জন্য অচেতন হয়েও যেতে পারেন। এমনটা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মাইল্ড স্ট্রোক রোগীর দ্রুত মস্তিষ্কের MRI পরীক্ষা করতে হবে। কেন এমন হলো তা দেখতে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোন ও ইসিজি পরীক্ষা করতে হবে। মাইল্ড স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্রুত সেরে উঠলেও নিশ্চিন্তে বসে থাকা যাবে না।
ধূমপান বর্জন করতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পরিমিত খাদ্য গ্রহণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলে অথবা থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
মাইল্ড স্ট্রোক রোগীর পরবর্তী সময়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকায় দেরি না করে নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়মিত গ্রহণ ও জীবনযাপন পদ্ধতির পরিবর্তনের মাধ্যমে মাইল্ড স্ট্রোক রোগী দীর্ঘ সময় সম্পূর্ণ সুস্থ্য থাকতে পারে।