ইকোলজিক্যাল পিরামিড কাকে বলে? ইকোলজিক্যাল পিরামিড কত প্রকার ও কি কি?
ইকোলজিক্যাল পিরামিড কাকে বলে?
খাদ্যজালকের বিন্যাস সমন্বিত পিরামিড আকৃতির ছককে ইকোলজিক্যাল পিরামিড বা বাস্তুসংস্থানিক পিরামিড বলে। একটি ইকোসিস্টেমের উৎপাদকের তুলনায় প্রাথমিক খাদক এর সংখ্যা কম থাকে, আবার প্রাথমিক খাদক এর তুলনায় সেকেন্ডারি খাদক এর সংখ্যা আরো কম থাকে।
খাদ্যস্তর গুলো এভাবে একটি অপরের সাথে সম্পর্কিত থাকে। বিভিন্ন ইকোসিস্টেমে খাদ্য শৃঙ্খল এর বিন্যাস সম্পর্কিত পিরামিড আকৃতির নকশাকে ইকোলজিক্যাল পিরামিড বলা হয়।
ইকোলজিক্যাল পিরামিড কত প্রকার ও কি কি?
ইকোলজিক্যাল পিরামিড তিন প্রকারের হয়ে থাকে। যথা:
১. সংখ্যার পিরামিড
২. শক্তির পিরামিড
৩. জীবভরের পিরামিড
সংখ্যার পিরামিড:
বাস্তুতন্ত্রে একটি খাদ্যচক্রের প্রত্যেকটি পুষ্টিস্তরের মধ্যে সংখ্যা অনুপাত বিন্যাস সমন্বিত ছককে সংখ্যার পিরামিড বলে। এরকম পিরামিডের ভূমি থেকে শীর্ষ পর্যন্ত ক্রমপর্যায় অনুযায়ী প্রত্যেক পুষ্টিস্তরে জীবের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে যেতে থাকে।
শীর্ষ পুষ্টিস্তরগুলােতে প্রাণীর সংখ্যা যেমন হ্রাস পায় তেমনি আবার ওদের আয়তন তুলনামূলকভাবে বেড়ে যায়।
শক্তির পিরামিড:
খাদ্য শিকলে যুক্ত প্রতিটি পুষ্টি স্তরের শক্তি সঞ্চয় ও স্থানান্তরের বিন্যাস ছককে শক্তির পিরামিড বলে। এ পিরামিডে ভূমিতে অবস্থিত পুষ্টিস্তরের (অর্থাৎ উৎপাদকের) সর্বমােট শক্তির পরিমাণ সবচয়ে বেশি এবং শীর্ষে অবস্থিত পুষ্টিস্তরে শক্তির পরিমাণ সবচেয়ে কম।
এর কারণ, এক পুষ্টিস্তর থেকে অন্য পুষ্টিস্তরে শক্তি স্থানান্তরের সময় শ্বসন, চলন এবং নানান দৈহিক ও বিপাক ক্রিয়ার ফলে স্থিতিশক্তির পরিমাণ কমে যায় (প্রায় ৮০%-৯০% কমে যায়)।
জীবভরের পিরামিড:
বাস্তুতন্ত্রে পুষ্টিস্তর অনুসারে বিভিন্ন জীবের শুষ্ক ওজন বা জীবভরের পরিমাণকে ক্রমপর্যায়ে সাজালে যে বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিড গঠিত হয়, তাকে জীবভর পিরামিড বা বায়োমাস পিরামিড বলে।
এ পিরামিডের নিচ থেকে উপরে পুষ্টিস্তরের জীবভর ক্রমশ কম থাকে। কিন্তু, পরজীবীদের বেলায় জীবভরের পিরামিড বিপরতিমুখি হয়।