DNA ও RNA কাকে বলে? DNA ও RNA এর মধ্যে পার্থক্য কি?

DNA কাকে বলে?


DNA এর পূর্ণরুপ হলো ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (Deoxyribonucleic acid)। ডিএনএ হলো একটি অণু যা কোনও জীবের বিকাশ, বাঁচতে এবং পুনরুৎপাদন করার প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী ধারণ করে। এই নির্দেশাবলী প্রতিটি সেল বা কোষের ভিতরে পাওয়া যায় এবং এর মাধ্যমে পিতামাতাদের কিছু বৈশিষ্ট্য তাদের বাচ্চাদের মধ্যে পাওয়া যায়।

DNA

অন্যভাবে বললে বলা যায়, ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (ইংরেজি: DNA) একটি নিউক্লিক অ্যাসিড যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে।

RNA কাকে বলে?


RNA এর পূর্ণরুপ হলো রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (Ribonucleic acid)। RNA হলো এক সুত্রক বিশিষ্ট পলিনিউক্লিওটাইডের একটি শেকল যাতে পাঁচ কার্বনবিশিষ্ট রাইবোজ সুগার, অজৈব ফসফেট ও নাইট্রোজেন বেস (এডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল) থাকে।

RNA

অন্যভাবে বললে বলা যায়, সজীব কোশে উপস্থিত রাইবোজ শর্করা যুক্ত একতন্ত্রী যে নিউক্লিক অ্যাসিড প্রধানত প্রোটিন সংশ্লেষে সহায়তা করে, তাকে আরএনএ বা RNA বা রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড বলে।

DNA ও RNA এর মধ্যে পার্থক্য:


DNA (Deoxyribonucleic acid) RNA (Ribonucleic acid)
১. DNA এর পূর্ণরুপ হলো ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (Deoxyribonucleic acid)। ১. RNA এর পূর্ণরুপ হলো রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড (Ribonucleic acid)।
২. DNA কোষের নিউক্লিয়াস এ অবস্থিত ক্রোমোজোম এর মধ্যে DNA তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ২. RNA কোষের সাইটোপ্লাজম এ RNA বেশি পরিমাণে থাকে।
৩. DNA এর পেন্টোজ শর্করা ডি-অক্সিরাইবোজ জাতীয় হয়। ৩. RNA এর পেন্টোজ শর্করা রাইবোজ জাতীয় হয়।
৪. DNA হলো দ্বিতন্ত্রী। ৪. RNA হলো এক তন্ত্রী।
৫. DNA এর নাইট্রোজেন বেস চারটি। যেগুলি হলো: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন এবং থাইমিন। ৫. RNA এর নাইট্রোজেন বেস চারটি। যেগুলি হলো: অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন এবং ইউরাসিল।
৬. DNA তে deoxy-ribose sugar থাকে। অর্থাৎ, এর পেন্টোজ সুগার গঠনের ২নং কার্বনে অক্সিজেন থাকেনা। ৬. RNA তে শুধু ribose sugar থাকে। অর্থাৎ, ২নং কার্বনে অক্সিজেন থাকে।
৭. DNA রেপলিকেশনের মাধ্যমে নতুন DNA তৈরী করতে পারে। ৭. RNA তে রেপলিকেশন হয়না।
৮. DNA এর কোন প্রকারভেদ নেই। ৮. RNA প্রধানত তিন প্রকার- mRNA, tRNA, rRNA ।
৯. DNA কার্যগতভাবে চিরস্থায়ী। ৯. RNA কার্যগতভাবে ক্ষণস্থায়ী।
১০. DNA তে নিউক্লিওটাইডের সংখ্যা অনেক বেশি। ১০. RNA তে নিউক্লিওটাইডের সংখ্যা অনেক কম।
১১. DNA এর আনবিক ওজন দশ লক্ষ থেকে বহুকোটি পর্যন্ত হতে পারে। ১১. RNA এর আনবিক ওজন কয়েক লক্ষের বেশি হয়না।
১২. DNA থেকে ট্রান্সক্রিপশনের মাধ্যমে আরএনএ (RNA) তৈরী হয়। ১২. RNA থেকে ট্রান্সলেশনের মাধ্যমে প্রোটিন তৈরী হয়।