শিশুর হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল।

শিশুদের হাতের লেখা শিখানো একটু কষ্টকর হতে পারে। তবে আপনি যদি ওদের উৎসাহ দেন তাহলে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ভালো হক বা খারাপ হোক ওকে উৎসাহ দিন দেখবেন আরো ভালো করছে।

শিশুর হাতেখড়ি থেকেই একটু একটু করে হাতের লেখা চর্চা শুরু করে দিতে হবে। প্রথম দিন একটু, তার পরের দিন আরেকটু বেশি এইভাবে বাড়াতে হবে। তবে শিশুকে জোর করা যাবে না।

তাকে নিজে থেকে ভালোবেসে করতে দিন। সেটা আরও বেশি ভালো হবে। তবে তার সঙ্গে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মও।

চলুন জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে-

নিজ থেকে শিখতে দিন:

প্রথমেই তার হাতে পেন্সিল ধরিয়ে দিলে সে বুঝতে পারবে না কীভাবে লিখতে হয়। এজন্য আপনি নিজে কোন একটি অক্ষর লিখে দিন সেটা দেখে লিখতে বলুন।

সে যেমন ভাবে লিখতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সেভাবেই তাকে লিখতে দিন। এতে সে দ্রুত লেখা শিখবে।

অক্ষর চেনান:

সবার আগে শিশুকে অক্ষর চেনাতে হবে। অক্ষর চিনলে সে দ্রুত ও ভালো করে লিখতে পারবে। সঙ্গে সঙ্গে কোন অক্ষরে মাত্রা নেই, কোনটাতে অর্ধমাত্রা সেটিও বুঝতে হবে।

লিখার ওপর হাত ঘোরানো:

একবারে অক্ষর যদি না লিখতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি লিখে দিন অক্ষরগুলোর উপর দিয়ে দাগাতে দিন। এভাবে অনেকবার প্র্যাকটিস করান।

পেন্সিল ধরা শিখান:

শিশুকে অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে লেখা শিখবে। তবে সেটি ধরার একটি নিয়ম আছে। পেন্সিলের থেকে এক ইঞ্চি ওপরে ধরতে হবে।

একবারে শিসের কাছে অথবা অনেক দূরে ধরলে ব্যালেন্স পাবে না, ফলে লেখা খারাপ হবে।

পুরো লাইনের ব্যবহার:

লেখা শেখানোর জন্য লাইন টানা খাতা দিন। পুরো লাইন ভরিয়ে লেখান। লাইনের উপরে ও নিচের দাগের সঙ্গে অক্ষর স্পর্শ করতে হবে সেটি বুঝিয়ে দিন।

এতে হাতের লিখা সুন্দর হবে লাইনগুলোও সোজা হবে।

বর্ণ সমান রাখা:

লেখার মধ্যে প্রতিটি বর্ণ হবে সমান। কোনটা বড় আর কোনটা ছোট এরকম করা যাবে না। এটির চর্চা করাতে হবে।

কোনোটা ছোট, কোনোটা বড় হলে লেখায় সৌন্দর্য আসবে না। লেখায় থাকবে না কোনো ছন্দ।

টেবিল চেয়ারে বসান:

অনেক শিশুকেই দেখা যায় খাটে বসে লিখছে এতে সে লিখতে লিখতে শুয়ে পরে। এজন্য হাতের লিখা ভালো হয় না। তাই এই অভ্যাস একবারেই করা যাবে না।

শিশুকে চেয়ারে বসাতে হবে, যাতে মেরুদণ্ড সোজা থাকে। তাহলে হাতের লেখাও সুন্দর হবে।

লাইন টানা:

এটির গুরুত্ব অনেকের কাছেই অজানা। নিউজপ্রিন্ট কাগজে শিশুকে উপর থেকে নিচে লাইন টানতে দিন। এতে শিশুর খাতার দিকে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হবে।

এছাড়া সুন্দর একটি অক্ষর লিখে তার ওপর শিশুকে হাত ধরে ডাবল রাইটিং করালে অক্ষরের আকার সম্পর্কে ধারণা সুস্পষ্ট হয় শিশুদের।

পর্যাপ্ত সময় দিন:

তাড়াহুড়োয় কোন কিছু ভালো হয় না। তাই সময় ও ধর্য্য নিয়ে শিখান। দেখুন সে কত সময় নিচ্ছে এটি বোঝার জন্যে।

একজন অভিভাবক হিসেবে শিশুকে দিন সর্বোচ্চ মনোযোগ।