থার্মোমিটার বগলে বা মুখে দেওয়া হয় কেন?

আমাদের প্রতিনিয়ত থার্মোমিটার প্রয়োজন হয়ে থাকে। থার্মোমিটার দিয়ে আমরা দেহের তাপমাত্রা নির্ণয় করে থাকি। এটার ব্যবহার খুব সহজ। আমাদের শারীরিক রোগ নির্ণয়ে দুই ধরণের তাপমাত্রা নির্ণয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

বিভিন্ন সময় আমাদের বিভিন্ন ভাবে তাপমাত্রা পরিমাপ করার প্রয়োজন হয়। তাই থার্মোমিটার বিভিন্ন অবস্থায় বগলে বা মুখে ব্যবহার করা হয়।

তাপমাত্রা নির্ণয় পদ্ধতি:
১. দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা
২. দেহের বহিরাবরণের তাপমাত্রা

এই দুধরণের তাপমাত্রা মাপতে পারদ থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, এতে সর্বোচ্চ ১০৮° ফারেনহাইট পর্যন্ত দাগ কাটা থাকে। এটিকে ক্লিনিক্যাল থার্মোমিটার বলে।

দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা

আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাকে Core temperature বলে। আমরা যখন দেহের তাপমাত্রা পরিমাপের কথা বলি, তখন আমরা Core temperature বোঝাই। দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা মুখে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।

এই তাপমাত্রা শুধু মুখে নয় ক্ষেত্র বিশেষে পায়ুপথ বা অন্ননালিতেও মাপা হয়ে থাকে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এটি বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। মুখের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৯৭.৩ – ৯৮.৮° ফা.

গরম বা ঠান্ডা খাবার খেলে বা তরল খাবার খেলে, ধূমপান বা মুখ দ্বারা শ্বাস চালালে তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে পারে।

দেহের বহিরাবরণের তাপমাত্রা

দেহের বহিরাবরণের তাপমাত্রাকে Shell temperature বলে। এই তাপমাত্রা বগলে মাপা হয়ে থাকে । শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করা হয়।