জলবায়ু পরিবর্তন এখনই ঠেকাতে হবে। নইলে মহাবিপদ।
স্যাটেলাইট থেকে তোলা গত ৫০ বছরের ছবি প্রমান দিচ্ছে সবথেকে বেশি বন উজাড় হয়েছে উন্নত দেশগুলোতে।
মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের জন্যও দায়ী উন্নত দেশগুলোই।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবথেকে বেশী কষ্ট করছে দরিদ্র দেশের মানুষেরা।
ক্লাইমেট জাস্টিস অর্থাৎ জলবায়ু পরিবর্তনের এই লাগাম এখনই টেনে ধরতে না পারলে আমাদের ধংস অনিবার্য।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবথেকে বড় প্রভাব পড়ছে সামুদ্রিক ও বন্য প্রাণীদের উপর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমরা পৃথিবীর ছয়তম মহাবিলুপ্তির মুখোমুখি।
বাস্তুতন্ত্রগুলো ভেঙে পড়ছে।
প্রতিদিন পৃথিবী থেকে বিভিন্ন প্রজাতি( উদ্ভিদ ও প্রাণী ) চিরবিদায় নিচ্ছে।
যদি এভাবে পৃথিবী থেকে প্রাণী বিলুপ্তি ঘটতে থাকে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাব চরম আকার ধারণ করে তাহলে বাস্তুতন্ত্রগুলো পুরোপুরি ধংস হয়ে যাবে।
এরপর মানুষের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। মানুষও বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন একটি চূড়ান্ত বিষয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। নৃ -জীবনীয় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাব্য দেশগুলির মধ্যে একটি বাংলাদেশ। হুমকির মধ্যে রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান (দেশের প্রায় এক পঞ্চমাংশ উঁচু জলের চিহ্নের 1 মিটারের মধ্যে নিম্ন-সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে গঠিত), খরা, বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড় (প্রায় ১৯০,০০০ মানুষ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়ে মারা গিয়েছিল) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ১৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাথে যাদের বেশিরভাগই প্রতিদিন মার্কিন ডলারের তুলনায় কম আয় করেন, বিশ্বের বেশিরভাগ দরিদ্র মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি ইতিমধ্যে জনসংখ্যার সম্মুখীন সমস্যাগুলি আরও বাড়িয়ে তুলবে।