কোলেস্টরোল ও হার্টের অসুখের সম্পর্ক কি?
আমাদের অনেকের শরীরে বিভিন্ন রক্তনালিতে চর্বি জমে থাকে। এই চর্বি জমার জন্য আমাদের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। সাধারণত আমাদের হার্টের রক্তনালির ভেতরের আবরণে চর্বি জমার পরিমাণের উপর আমাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা নির্ভর করে থাকে।
যাদের দেহের রক্তনালিগুলোর ভেতরের আবরণে চর্বি জমার পরিমাণ বেশি হয় তারা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ও সর্বোচ্চ হয়ে থাকে। এই চর্বির জন্য রক্তনালির ভেতরের আবরণ ফেটে যায় এবং সেখানে রক্ত জমাট হয়ে রক্তনালির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
রক্ত সরবরাহ কম হলে হার্টের মাংসপেশি নষ্ট হতে শুরু করে এবং একসময় হার্ট অ্যাটাক হয়। উচ্চ রক্তচাপ, ওবেসিটি , কোলেস্টেরলের কারণে হার্টেও বাসা বাঁধতে পারে বিভিন্ন ধরণের অসুখ। তাই আমাদের খারাপ কোলেস্টেরল থেকে বিরত থাকতে হবে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবারের মাধ্যমে অতিরিক্ত মাত্রায় কোলেস্টেরল শরীরে প্রবেশ করলেই বিপদ। বেশি মাত্রায় শর্করা খাদ্যগ্রহণ করলে ফ্যাটে পরিবর্তিত হয়। তখন দেহকোষগুলো বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল উৎপাদন করে থাকে। এই কোলেস্টেরলের বড় একটা অংশ ধমনীর প্রাচীরে জমা হয় এবং রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
খারাপ কোলেস্টেরলের ব্যাপারে প্রথম থেকে সচেতন হতে হবে না হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন জটিল অসুখের শিকার হতে হয়। কিন্তু রুটিনের কিছুটা অদলবদল ঘটিয়েও এই লাইফস্টাইল ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় হলো সারা দিনের কিছু ভুল বাদ দেওয়া। স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে কোলেস্টেরল কম থাকে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে উচ্চতর এলডিএল হৃদরোগের জন্য একটি ঝুঁকির কারণ এবং খাদ্যতালিকাগত ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গবেষকরা দেখেছেন যে ছোটখাটো খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন করে কোলেস্টেরল হ্রাস করা যায় এবং ভবিষ্যতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।