কালো টাকা সাদা করা মানে কি?

কর আইনে বা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও কালো টাকার সংজ্ঞা নেই। কিন্তু কালো টাকার প্রচলিত একটা ধারণা আছে। এই কর আইনে কালো টাকার কথা বলা না থাকলেও ‘অপ্রদর্শিত আয়’ এই কথার উল্লেখ আছে। এই আইন অনুয়ায়ী কালো টাকা বলতে অপ্রদর্শিত আয়ইকে বোঝায়।

সাধারণত কালো টাকা বলতে বোঝায় যে টাকার উৎস বৈধ নয়। দুর্নীতি, ঘুষ, চোরাকারবার, কালোবাজারি, মাদক ইত্যাদি নিষিদ্ধ জিনিসের থেকে উপার্জিত টাকাকে কালো টাকা বলা হয়। কিন্তু অনেক সময় আয়কর আইন অনুয়ায়ী বৈধ ভাবে উপার্জিত টাকা কালো হতে পারে।

টাকার মালিক যদি তার আয়কর বিবরণীতে ঐ টাকার উল্লেখ না করে থাকেন বা করযোগ্য টাকা হলেও যদি কর না দেয় তাহলে ঐ টাকাকে কালো টাকা বা অপ্রদর্শিত অর্থ হিসাবে ধরা হয়।

অর্থনীতিবিদের মতে, যে সম্পদ বা আয়ের জন্য কর দেওয়া হয় না সেই টাকাকে কালো টাকা বলে। এর দু’টি ভাগ আছে,

  •  বৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ।
  • অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ।

যে টাকা বৈধ ভাবে উপার্জিত হয়েছে কিন্তু আয়কর দেওয়া হয়নি এবং যে টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জিত হয়েছে এবং তার আয়কর দেওয়া হয়নি তাকে আমরা কালো টাকা বলি। এই কালো টাকার নির্দিষ্ট পরিমাণ কর এবং জরিমানা দিয়ে অর্থনীতির ভেতর অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে তাকে কালো টাকা সাদা করা বলে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশে কোনো কালো টাকা সাদা করার উপায় ছিল না। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে সামরিক সরকার প্রথম কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেন এক ফরমান জারির মাধ্যমে। তারপর থেকে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্নভাবে।

কিন্তু দেখা যায়, এই অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক সুযোগ করে দেলিও তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। খুব সামান্য পরিমান টাকাই সাদা করেছেন কালো টাকার মালিকেরা।