এসিতে থাকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কি কি?
তীব্র গরমে এসি ঘরের চেয়ে আরামদায়ক আর কিছুই হতে পারে না। আবার এসি না থাকলে অফিসের কাজেও যেন মন বসে না। কিন্তু জানেন কি, দিনের পর দিন এসিতে থাকার কারণে বেশ কিছু খারাপ প্রভাব পড়ে শরীরের উপর?
অফিসে টানা ৮-৯ ঘণ্টা এসির ঠাণ্ডায় বসে কাজ করার পর বাড়িতে ফিরে পাখার হওয়া যেন গায়েই লাগতে চায় না! তাই বাড়িতেও এসি ছাড়া চলবে না। আসলে, আমরা ধীরে ধীরে এসির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি, এসি উপর অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি।
কিন্তু এসির প্রতি এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
এসিতে থাকার স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমূহ:
আসুন সারাক্ষণ এসিতে থাকার কয়েকটি স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক :
বেশি সময় এসিতে থাকলে ত্বক তার আর্দ্রতা হারিয়ে শুকিয়ে যায়। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
এসি ঘরে স্বাভাবিকের তুলনায় আর্দ্রতা কম থাকার ফলে স্কিনের ড্রাইনেস বা শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়।
বেশিরভাগ সময় এসির ঘরে থাকলে শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। এসি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত এসির ব্যবহার বা দীর্ঘ সময় এসিতে থাকার ফলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্মক ভাবে বেড়ে যেতে পারে।
দীর্ঘ সময় ধরে এসি ঘরে থাকলে অ্যাজমা অর্থাৎ হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যারা দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকেন, তারা মাথা ব্যথা ও অবসাদে বেশি ভোগেন। এসি ঘর আপনার ঠাণ্ডার সমস্যা, ফ্লুর প্রকোপ বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনেক সময় এসি ঘরে থাকলে ধমনী বা শিরা সংকুচিত হয়ে যায়। এর ফলে দেহে রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হয়।
এসি শুধু ত্বক নয়, চোখকেও শুষ্ক করে দেয়। এর ফলে চোখে চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে জল ঝরা- প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি হয়।
এসি ঘরে থাকলে হাঁটু, কোমর, কনুই কিংবা ঘাড়ের কার্যকারিতাও প্রভাবিত হয়। সাধারণত এই সমস্ত জয়েন্টে এসির হাওয়ার প্রভাবে যন্ত্রণা দেখা দেয়।
যাঁরা দিনের বেশির ভাগ সময় বা একটানা ৯-১০ ঘণ্টা এসি ঘরে থাকেন, তাঁদের মধ্যে আর্থাইটিস, ব্লাড প্রেসার বা নানা ধরণের স্নায়ুর সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
দিনে অনেক সময় ধরে যারা এসি ঘরে থাকে, তাদের মিউকাস গ্ল্যান্ড স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে তাদের সাইনাসের সমস্যা দেখা দেয়।