আল্ট্রাসনোগ্রাফি কি? আল্ট্রাসনোগ্রাফি কখন করা হয়।
এখনকার দিনে আল্ট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasonography) হল বহুল পরিচিত একটি বিষয়। শব্দতরঙ্গের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরের ছবি পর্দায় দৃশ্যমান করার পদ্ধতির নাম হলো আলট্রাসনোগ্রাফি। আলট্রাসনোগ্রাফিতে সাধারণত ২ থেকে ১৮ মেগাহার্জ কম্পাংকের শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় চিকিৎসা বিজ্ঞানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। আল্ট্রাসনোগ্রাফিকে একটি নিরাপদ পরীক্ষা বলে মনে করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এতে এক্স-রে এর মতো ক্ষতিকর প্রভাব নেই। রোগ নির্ণয়ে গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় পরীক্ষা হলো আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
আল্ট্রাসনোগ্রাফি কখন করা হয় তা নিচে আলোচনা করা হলো:
একজন কার্ডিওলজিস্টের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো ইকো-কার্ডিওগ্রাফি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই হার্টের কোনো অংশ ডাইলেটেশন, ভেন্ট্রিকেল ও ভাল্ভ ঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা বোঝা যায়। এর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
পেটের পরীক্ষার জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহার করা হয় তা আমরা প্রায় সবারই জানি। যেকোনো রকম সমস্যার জন্য চিকিৎসকরা আলট্রা করে সহজেই লিভার, কিডনি, পিত্তথলি, পিত্তনালি, মূত্রথলি, প্লিহার অবস্থান ও রোগ সম্পর্কে জেনে নেন। এছাড়া অ্যাপেন্ডিসাইটিসও নির্ণয় করা সহজ হয়। এছাড়া কিছু কিছু অপারেশনে আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করা হচ্ছে।
মাংশপেশী, টেনডন, লিগামেন্ট, নরমটিসুর পরীক্ষায় সনোগ্রাফি খুবই ভালো পদ্ধতি। এছাড়া কব্জি, হাঁটু, কনুই, কাঁধের জয়েন্টের পরীক্ষা করতে এক্সরের বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয় আল্ট্রাসনোগ্রাফি।
পেলভিক অর্গান এবং মূত্রথলি বা নালির বিভিন্ন রোগ, যৌনাঙ্গের অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি জানতে হলে আমাদের আল্ট্রাসনোগ্রাফি দরকার হয়। মহিলাদের পেলভিক অর্গান ভালোভাবে দেখা যায় এবং পরীক্ষা করা যায় আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে। তাই আমাদের এসব সমস্যার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে হয়।
গর্ভাবস্থায় পেটের বাচ্চার অবস্থান ও বৃদ্ধি, বাচ্চার কোনো রকম সমস্যা বা অস্বাভাবিকতা আছে কিনা তা সহজেই আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বোঝা যায়। আমাদের অনেকের আলট্রাসনোগ্রাফির সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা আছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই অবহেলা করা উচিত নয়।