বাচ্চাদের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ কি নিরাপদ?
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে দুই বছর বয়সের আগে বাচ্চাদের মোবাইল, ল্যাপটপ স্ক্রিন দেখা ঠিক নয়। শিশুরা মোবাইল, ল্যাপটপ স্ক্রিনের দিকে এক পলকে তাকিয়ে থাকে যা ক্ষতিকর।
ইয়েল (Yale) ইউনিভার্সিটির পরিবেশগত ঝুঁকি ও নীতির অধ্যাপক জন ওয়ারগো, ফেব্রুয়ারী 2012-এ মার্কিন স্বাস্থ্য দাতব্য সংস্থা ইএইচএইচআই (EHHI)-এর দ্বারা প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, “বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি যথেষ্ট দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করছে যে মোবাইল ডিভাইসগুলি শিশুদের, গর্ভবতী মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বর্তমান বিশ্বে মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ এগুলো আমাদের জীবনে এমন ভাবে মিশে আছে যেগুলো থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখা কষ্টকর। কষ্টকর হলেও বাচ্চার ভালো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমরা নিচের উপায় গুলো চেষ্টা করতে পারি:
বাচ্চাকে নিরাপদ রাখতে করণীয়:
- আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে বাচ্চা যেন মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে একবারে 20 থেকে 30 মিনিটের বেশি না দেখে।
- আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বাচ্চা কি ধরনের তথ্য দেখছে বা কি গেম খেলছে।
- ল্যাপটপ বা মোবাইল চার্জিং অবস্থায় ব্যবহার করছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। ল্যাপটপ বা মোবাইল চার্জিং অবস্থায় বাচ্চাদের ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক নয়।
- বাচ্চা যখন মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করছে খেয়াল রাখতে হবে যেন এগুলো তার চোখের খুব কাছে না থাকে। চোখের খুব কাছে থাকলে অল্প বয়সে চোখের ক্ষতি হতে পারে।
- বাচ্চা যখন ঘুমাচ্ছে তখন তার বিছানার পাশে মোবাইল ডিভাইস না রাখায় ভালো। মোবাইলের অযাচিত শব্দ বাচ্চার ঘুমের সমস্যা করবে।
- বাচ্চার যেকোনো অভ্যাস তার পরিবার থেকে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য তাকে ভিডিওতে অভ্যস্ত না করা ভালো।
- মোবাইল ডিভাইস এর মাল্টি টাস্কিং বাচ্চাদের দৃঢ় মনোযোগে নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। তাই স্ক্রিন টাইম যতটা সম্ভব কমিয়ে দেওয়া।
মোবাইল ডিভাইস বাচ্চার চিন্তাশক্তিতে প্রভাব ফেলে
Share