তেজপাতা চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা।

তেজপাতা একটি সুগন্ধি মসলা। এটি মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এর রয়েছে কিছু ঔষধিগুণ। মশালার পাশাপাশি আয়ুর্বেদেও ঔষুধ হিসাবে এর কদর রয়েছে। তেজপাতা হজম এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করে, যা খাদ্য হজমে উন্নতি করতে সহায়তা করে।

এটি গ্যাস, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, বদহজম, ডায়রিয়া, সাধারণ সর্দি এবং হাঁপানি হ্রাস করে। আয়ুর্বেদে আছে, তেজপাতা শরীরে AMA টক্সিন হ্রাস করতে পারে।

তেজপাতা যেমন রান্নার স্বাদ বাড়ায় পাশাপাশি তেজপাতা দিয়ে তৈরি করা চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। তেজপাতার চা আমাদের শরীরকে একটা ঝরঝরে অনুভূতি দেয়। এই চা কাশি কমায়, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।

তেজপাতা চায়ের উপকারিতা

জেনে নিন নিয়মিত তেজপাতার চা পান করার কিছু উপকারী দিক-

হার্ট ভালো রাখে:

তেজপাতা চা পান করলে হার্ট ভালো থাকে এবং স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে এই চা সাহায্য করে থাকে।

হজমে সাহায্য করে:

তেজপাতা দিয়ে তৈরি চা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বদহজম সম্পর্কিত সকল সমস্যা দূর করতে পারে। তেজপাতা চা শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। বদহজম এবং পেট ফাঁপা বা গ্যাসের ক্ষেত্রে, তেজপাতা ও এক টুকরো আদা একত্রে ১ কাপ পানিতে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। ফুটানো হয়ে গেলে পানিটা ছেঁকে নিয়ে তাতে কিছুটা মধু যোগ করে দিনে দুবার পান করুন।

খুশখুশি কাশি দূর করে:

আপনি যদি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হন ও কাঁশির সমস্যায় ভোগেন তাহলে ব্যাকটেরিয়া তাড়াতে তেজপাতা আপনাকে চমৎকারভাবে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে তেজপাতা চা বা তেজপাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সাথে একটু মধু খেতে পারেন।

ব্যথা উপশমে কার্যকর:

এই চায়ের অন্যতম গুণ হলো ব্যথা হ্রাস করতে পারে। তেজপাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে মাথা ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা, বাতের ব্যথা হ্রাস করতে সহায়তা করে।

স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করতে পারে:

তেজপাতার মধ্যে রয়েছে লিনালুল নামক উপাদান। লিনালুল যা আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোন হ্রাস করে। আমাদের দেহে অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোন স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। তেজপাতা উচ্চ-উদ্বেগের মুহুর্তগুলি শান্ত হতে এবং স্বস্তিতে থাকতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে:

যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা তেজপাতা দিয়ে চা খেতে পারেন। তেজপাতার চা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ইনসুলিন তৈরির প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে।

সতর্কতা

যা খাবেন পরিমান মতো খাবেন। আপনি যদি জটিল কোনো রোগে আক্রান্ত হন বা অন্য কোনো কারণে রেগুলার কোনো মেডিকেল কোর্স-এর মধ্য দিয়ে যান তাহলে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।