জরায়ু ক্যান্সারের কারণ ও লক্ষণ।

জরায়ুর ক্যান্সার (Cervical cancer) যা গর্ভাশয় ক্যান্সার নামেও পরিচিত। বিশ্বে জরায়ুর ক্যান্সার দ্বিতীয় ঘাতক ব্যাধি হিসেবে পরিচিত।

প্রথম অবস্থায় চিকিৎসা না করানোর ফলে এ রোগে আক্রান্তদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫২ শতাংশ কমে যায়। এই ক্যান্সার অত্যন্ত মারাত্মক যা বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ।

জরায়ুর ক্যান্সার সাধারণত ৩০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ লাখ ৭০ হাজার নারী এই জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার নারী এর ফলে মারা যান।

জরায়ু ক্যান্সারের কারণ

মহিলাদের জরায়ু মুখে যে ক্যান্সার হয় তাকে জরায়ু ক্যান্সার বলে। হিউম্যান প্যাপিলোমা নামে একধরনের ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে নারীরা জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বেশি।

জরায়ু ক্যান্সার একটি ধীর বর্ধনশীল ক্যান্সার। প্রথম অবস্থায় এই ক্যান্সারের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। কিন্তু পরে ধীরে ধীরে এর লক্ষণগুলো ক্রমশ প্রকাশিত হতে থাকে।

  • কখনও সন্তান না হওয়া।
  • বাল্যবিবাহ, ১৮ বছরের কম বয়সে সন্তানধারণ, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণে মহিলারা জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বেশি।
  • পিরিয়ড শুরুর আগে (১২ বছর বয়সের আগে)।
  • উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস এর সমস্যা থাকলে।
  • অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলত্ব হওয়ার কারণে।
  • ডিম্বাশয়, জরায়ু, বা পেটের ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে।
  • পূর্বের ডিম্বাশয়ের টিউমার থাকলে।

জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ

জরায়ু ক্যান্সারের সর্বাধিক সাধারণ লক্ষণ হল অস্বাভাবিক যোনি রক্তপাত। এর মধ্যে রয়েছে ঋতুস্রাবের পরিবর্তন, মেনোপজের পরে রক্তক্ষরণ বা দাগ পরে যায়।

  • সবসময় বমি বমি ভাব কিংবা বার বার বমি হওয়া।
  • অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে যাওয়া।
  • অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ করা।
  • অস্বাভাবিক স্রাব, যা দুর্গন্ধযুক্ত, পুঁজের মতো বা রক্তযুক্ত হতে পারে।
  • সহবাসের সময় ব্যথা।
  • প্রস্রাবের সময় ব্যথা, প্রস্রাবের মধ্যে রক্ত।
  • মল ত্যাগের সময় ব্যথা বা রক্ত পড়া।
  • শ্বাস নিতে সমস্যা