বিয়ের ক্ষেত্রে বিল্ডিং আছে কিনা যাচাই না করে বিল্ডিং ঘরের মানুষগুলো মানুষ না অমানুষ তা যাচাই করা জরুরী।

অনেকে বলেন, এখন ভালো মানুষের কোনো মূল্য নেই। ভালো মনের মানুষ, সৎ মানুষ হয়ে কি হবে। আসলে কি তাই? এখন ভালোবাসার দাম নাই, টাকা থাকলেই যথেষ্ট। টাকা থাকলে আর কিছু লাগে না। এগুলো কতটুকু সত্য?

টাকা পয়সা থাকলেও ঘরে অশান্তি, ঝগড়া বিবাদ। মানুষের স্বভাব, চরিত্র, সুশিক্ষা এক্ষেত্রে এজন্য দেখার বিষয় আছে। ভালোর সংখ্যা বেশি বলেই সমাজ ব্যবস্থা এখনো টিকে আছে।

অনেকে দুই তলা বিল্ডিং অর্থাৎ অর্থ সম্পত্তি দেখে মেয়ে বিয়ে দিয়ে থাকেন। অনেকের ক্ষেত্রে ভালো হয় কিন্তু আবার অনেকের বিয়ে দেওয়ার পরে নববধূ ও তার পরিবারের উপর নেমে আসে চরম অত্যাচার, দুঃখ-কষ্ট।

শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, ননদ, স্বামী-এক একজন যেনো হিটলারের প্রতিরূপ। গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। মেরে ঝুঁলিয়ে রেখে বলছে গলায় দড়ি দিছে। জোর করে বিষ খাইয়ে বলছে বিষ খেয়ে মরে গেছে।

groomcrying

তাহলে অনেকে বলবেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থ্যা, শিক্ষা পরিকাঠামো গোড়া থেকে ঠিক করতে হবে। অমানুষের ঘরে কেউ না কেউ তো মেয়ে দিবে। আমি বুঝবো কিভাবে।

হ্যা, তাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থ্যা, শিক্ষা ব্যবস্থ্যা গোড়া থেকে ঠিক করতে হবে। দয়া. মায়া, মমতা, ভালোবাসা, বিবেক এগুলো তো অর্থ আর লোভের কাছে শোপে দিলে মানুষ আর মানুষ রইলো না।

বিবাহের মাধ্যমে পরিবারের সূত্রপাত হয়। এছাড়া বিবাহের মাধ্যমে বংশবিস্তার ও উত্তরাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিবাহের মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কিত পুরুষকে স্বামী (পতি) এবং নারীকে স্ত্রী (পত্নী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে “দাম্পত্য জীবন” হিসাবে অভিহিত করা হয়। তাই ভেবে চিন্তে, বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

বিভিন্ন ধর্মে বিবাহের বিভিন্ন রীতি প্রচলিত। একইভাবে বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন প্রথায় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিবাহ মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনি প্রথাও বটে। বিবাহবহির্ভুত যৌনসঙ্গম অবৈধ বলে স্বীকৃত এবং ব্যভিচার হিসাবে অভিহিত একটি পাপ ও অপরাধ।