টার্মিনাল (Terminal) কাকে বলে? টার্মিনালের প্রকারভেদ সমূহ।
টার্মিনাল (Terminal) কাকে বলে?
টার্মিনাল (Terminal) হচ্ছে এমন একটি ইলেকট্রনিক বা ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল হার্ডওয়্যার ডিভাইস যার মাধ্যমে কম্পিউটারে ডাটা প্রবেশ করানো যায় এবং একটি কম্পিউটার বা একটি কম্পিউটিং সিস্টেম থেকে ডাটা প্রদর্শন করা যায়।
অন্যভাবে বললে বলা যায়, টার্মিনাল (Terminal) হচ্ছে একটি ডিভাইস যার মাধ্যমে কম্পিউটারে ডেটা প্রবেশ করানো যায় এবং কম্পিউটার হতে ডেটা প্রদর্শন করা যায়। সাধারণভাবে কীবোর্ড এবং ডিসপ্লে স্ক্রিনের সমন্বয়ে টার্মিনাল গঠিত। মেইনফ্রেম কম্পিউটারের সাথে টার্মিনাল যুক্ত করে অনেক লোক একসাথে কাজ করতে পারে।
টার্মিনালের প্রকারভেদ সমূহ:
প্রসেসিং করার ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে টার্মিনালকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।। যথা:
১. ইনটেলিজেন্ট টার্মিনাল (Intelligent Terminal)
২. ডাম্প টার্মিনাল (Dump Terminal)
৩. স্মার্ট টার্মিনাল (Smart Terminal)
ইনটেলিজেন্ট টার্মিনাল (Intelligent Terminal):
ইনটেলিজেন্ট টার্মিনাল (কীবোর্ড এবং মনিটর) এর প্রসেসিং ক্ষমতা আছে। এতে মেমোরি এবং প্রসেসর যুক্ত থাকে। নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে এ টার্মিনাল ইনপুট গ্রহণ, প্রসেস এবং আউটপুট প্রদান করতে পারে। যেমন- দূরবর্তী কোন সার্ভারের সাথে যুক্ত মাইক্রোকম্পিউটার।
ডাম্প টার্মিনাল (Dump Terminal):
যে টার্মিনাল ইনপুট গ্রহণ ও প্রদান করতে পারে কিন্তু কোন প্রকার প্রসেস করতে পারে না, তাকে ডাম্ব টার্মিনাল বলে। যেমন: এয়ার ক্লার্ক ও এয়ার কাউন্টার। এ টার্মিনালের প্রসেসিং ক্ষমতা নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের উপর নির্ভরশীল।
স্মার্ট টার্মিনাল (Smart Terminal):
এ টার্মিনালের সীমিত প্রসেসিং ক্ষমতা আছে, কিন্তু ইনটেলিজেন্ট টার্মিনালের মতো বেশি নয়। এ টার্মিনাল ইনপুট গ্রহণ ও প্রদান এবং আউটপুট প্রদান ছাড়াও সীমিত পরিসরে প্রসেস করতে পারে। যেমন- এটিএম বুথ এবং POS সিস্টেম।