WAN কাকে বলে? WAN এর বৈশিষ্ট্য কী কী?

WAN কাকে বলে?


WAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Wide Area Network ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। দেশজুড়ে বা পৃথিবীজুড়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাকে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা WAN বলা হয়।

এছাড়া, MAN নেটওয়ার্কের সমষ্টিকে WAN নেটওয়ার্ক বলা হয়ে থাকে। যেমন– World Wide Web (WWW), ইন্টারনেট (Internet) ইত্যাদি। এই ধরনের নেটওয়ার্কে একাধিক LAN, MAN সংযুক্ত করা হয়ে থাকে।

WAN_WAN

এই ধরনের নেটওয়ার্কে টেলিফোন, স্যাটেলাইট, মাইক্রোওয়েভ, মডেম, বেতার তরঙ্গ ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। তথ্য আদান প্রদানের জন্যে এই ধরনের নেটওয়ার্ক বেশি ব্যবহৃত হয়।

WAN এর বৈশিষ্ট্য কি কি?


WAN এর বৈশিষ্ট্য সমূহ:
১. WAN ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য, পত্র-পত্রিকা, বই, চলচ্চিত্র প্রভৃতি সংগ্রহ ও ব্যবহার করা যায়।
২. WAN ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ইমেইল প্রেরণ করা যায় এবং অনলাইন শপিং করা যায়।
৩. WAN এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে বুলেটিন বাের্ড তৈরি করা যায়।
৪. WAN ব্যবহার এর ফলে ক্লাউড কমপিউটিং সুবিধা পাওয়া যায়।
৫. WAN ব্যবহার এর মাধ্যমে কম খরচে বিশ্বের যে কোন স্থানে ভয়েস ও ভিডিও যােগাযােগ করা হয়।
৬. WAN নেটওয়ার্কে একাধিক LAN, MAN সংযুক্ত করা হয়ে থাকে।
৭. বর্তমানে WAN সিস্টেমে তথ্য প্রেরণের হার 1 GB পর্যন্ত হয় এবং WAN-এ অনিয়মিতভাবে টপোলজি ব্যবহার হয়।
৮. WAN নেটওয়ার্ক বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে উঠতে পারে, এমনকি এর বিস্তৃতি গোটা বিশ্বজুড়ে হতে পারে।
৯. WAN নেটওয়ার্ক সিস্টেম সম্পন্ন করার জন্য এর স্পিড সাধারণ ১২০০ Mbps থেকে ২৪০০ Mbps পর্যন্ত হয়ে থাকে।
১০. WAN নেটওয়ার্কে টেলিফোন, স্যাটেলাইট, মাইক্রোওয়েভ, মডেম, বেতার তরঙ্গ ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।
১১. WAN ব্যবহার এর মাধ্যমে অনলাইনে বিশ্বের যে কোন দেশের কলেজ, বিশ্বদ্যিালয়ে ক্লাস করা এবং ডিগ্রি অর্জন করা যায়।
১২. সর্বোপরি, WAN ব্যবহার এর মাধ্যমে সমগ্র নেটওয়ার্ক বিশ্বকে টেবিলে বসে প্রত্যেক্ষ করা যায়।