হার্টে রিং পরানো আসলে কি?

রক্তনালিতে ব্লকের সমস্যায় অনেকে ভুগে থাকেন। হার্টে রিং পরার প্রধান এবং একমাত্র কারণ হলো হার্টের রক্তনালিতে ব্লক দেখা দেওয়া। হার্ট ব্লক হলে অনেক সময় চিকিৎসার ক্ষেত্রে রিং পরানো হয়।

রিং একটা মেটালিক টিউব যেটা ব্লক হওয়া রক্তনালিতে পরিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। যাতে আমাদের বুকের ব্যাথা কমে আসে।

রিং বিভিন্ন ধাতুর তৈরী খুবই সূক্ষ তারজালির মত।

যদি ব্লকের মাত্রা ৭০ ভাগের বেশি হয় তাহলে রিং লাগানো প্রয়োজন। আমাদের রক্ত নালি তিন প্রকার LAD, LCX, RCA। একটা নালি ব্লক হলে একটা রিং পরানো হয়, দুইটা ব্লক হলে দুইটা রিং পড়ানো হয় আবার দেখা যায় কারও তিনটারও প্রয়োজন হয়। 

হার্টে রিং পরানো কি?

হার্টের রিং হলো তার দ্বারা তৈরি এক রকমের পাইপ এটা ব্লকের যায়গায় প্রতিস্থাপন করে বাইরে থেকে প্যাচানো তারটি ফুলিয়ে পাইপ তৈরি করে চিকন রক্তস্রোতকে প্রসারিত করে এবং তা যেন চেপে গিয়ে ব্লকের তৈরি করতে না পারে।

রিং এর প্রচলন শুরু হওয়ার আগে এনজিওগ্রাম চালু ছিল। তখন এনজিওগ্রাম করে যদি ব্লক পাওয়া যেত তাহলে ব্লকের স্থানে বেলুন ফুলিয়ে ব্লক খুলে দেওয়া হতো। বেলুনের মাধ্যমে করা এ চিকিৎসাকে এনজিওপ্লাস্টি বলা হয় থাকে। রিং প্রচলিত হওয়ার পর এর প্রচলন কমতে দেখা গেছে।

এনজিওপ্লাস্টির একটা বড় সমস্যা ছিলো বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রিত বেলুন ফুলিয়ে ব্লক খুলে দেওয়া সম্ভব কিন্তু কিছুদিন পর দেখা যায় ফুলানো অংশটা আবার আগের মতো অবস্থায় ফিরে আসে এবং আগের মতো ব্লক তৈরি করে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রিং এর আবিষ্কার হয়।

আসলে রিং লাগানোর ভালো সময় হচ্ছে হার্ট এটাকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে। যত তাড়াতাড়ি রিং পরানো যায় তত কার্যকর।

আপনার হার্টে রিং পরানো হয়েছে মানে আপনার হার্টের রক্তনালিতে ব্লক পাওয়া গেছে। হার্ট ব্লকের সমস্যা অনেক সময় বংশগত কারণে ও হয়ে থাকে। যাদের একবার হার্টে ব্লক দেখা দিয়েছে তাদের আবারও ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়।

তবে যদি সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ ও খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু নিয়ম মেনে চলেন তবে রিং-পরবর্তী সময় আপনার হার্টে ব্লক সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে । আপনি সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবন অব্যাহত রাখতে পারবেন।