সিভি ও কভার লেটার কী? এদের মধ্যে পার্থক্য কী?

সিভি কি?


সিভি (Curriculum Vitae) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে, যার বাংলা অর্থ হলো ‘জীবনযাত্রা বা জীবনবৃত্তান্ত’। সিভি তে একজন ব্যাক্তির জীবন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য থাকে। একজন চাকরী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতা এবং কিছু ব্যক্তিগত বিবরণের একটি লিখিত দলিল সিভি (Curriculum Vitae) নামে পরিচিত।

এটি মূলত সম্ভাব্য নিয়োগকর্তারা চাকরিপ্রার্থীদের ক্যারিয়ারের সংক্ষিপ্ত বিবরণী এবং যোগ্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকার আগে, তাদের তালিকাভুক্ত করতে ব্যবহার করে। এতে যোগ্যতা, দক্ষতা, শখ, অভিজ্ঞতা, অর্জন, প্রকল্প, পুরস্কার, প্রকাশনা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

কভার লেটার কী?


কভার লেটার (Cover letter) হলো একটি চিঠি যা সিভির সাথে সংযুক্ত করে পাঠানো হয় এবং প্রার্থীর যোগ্যতার সারাংশ ধারণ করে। মূলত চাকরির আবেদনে কভার লেটার ব্যবহার করা হয়।

এটিতে আবেদনকারীর উক্ত শূন্য পদে যোগ্যতার রূপরেখা বর্ণনা করা হয়। কভার লেটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যা সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাতের সুযোগ পাবে কি না অথবা ঐ পদের জন্য সাক্ষাৎকারের ডাক পাবে কিনা।

কভার লেটারে প্রার্থীর যুক্তি থাকে যে, কেন তিনি উক্ত চাকরির জন্য সেরা। এটা চাকরীর ধরণ অনুযায়ী পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে হয়। একটি কভার লেটারে আবেদনকারীর নাম, যোগাযোগের বিবরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা, সম্ভাবনা ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেওয়া থাকে।

সিভি ও কভার লেটারের মধ্যে পার্থক্য কী?


সিভি (Curriculum Vitae) কভার লেটার
ব্যক্তিগত, একাডেমিক এবং প্রফেশনাল তথ্য বিস্তারিত উল্লেখ্য থাকে। খুব সংক্ষেপে নিজের যোগ্যতা তুলে ধরা হয়।
সীমাবদ্ধতা নেই তবে সাধারণত ২-৩ পাতা দীর্ঘ হতে পারে। এক পৃষ্ঠা হয়ে থাকে।
তথ্য সময়ানুক্রমিক ভাবে সাজানো থাকে। তথ্য উপস্থাপনের ধরণ চিঠি বা আবেদন পত্রের সাথে মিল আছে।
প্রতিষ্ঠান বা কাজের ভিন্নতার জন্য পরিবর্তন দরকার নেই। আপডেট করলেই চলে। প্রতিটি আবেদনের জন্য কাজ অনুযায়ী পরিবর্তন আনতে হয়।
বিস্তারিত। বেশ সংক্ষিপ্ত।
লিস্ট এবং বুলেট পয়েন্ট দ্বারা উপস্থাপিত হয়। প্যারাগ্রাফ আকারে উপস্থাপিত হয়।
একটি সিভিতে আবেদনকারীর শিক্ষাগত ও কর্মসংস্থানের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। কভার লেটার চাকরিতে প্রার্থীর আগ্রহ প্রকাশ পায়।
রেফারেন্স: