রান্না করা কি শুধু মেয়েদের কাজ? পুরুষ মানুষের কি রান্না শেখা উচিত?
রান্না করা শুধু মেয়েদের কাজ নয়। এই কাজ পুরুষ করবে, ওই কাজ নারী করবে বা অমুক কাজ তমুক সম্প্রদায় করবে, তমুক কাজ অমুকে করবে এমন কোনো বিধিবিধান বা সংবিধান নেই বা থাকা উচিতও নয়।
আসলে সেই আদিম যুগ থেকে খাবারের সন্ধানে নারী পুরুষ উভয়কেই বাইরে বেরোতে হতো এবং খাবারকে আগুনে পুড়িয়ে খাওয়ার উপযোগী করার জন্য একে অপরকে সাহায্য করতো।
বহু প্রাচীনকাল থেকে সমাজে একটা নিয়ম চলে আসছে। পুরুষরা রোজগারের জন্য বাইরে ব্যস্ত থাকবে আর নারীরা গৃহস্থালি সামলাবে। এর কারণ সন্তান গর্ভে ধারণ ও লালন পালন করতে মাকে যেমন ঘরে অনেকটা সময় থাকতে হয়। এছাড়া সন্তান গর্ভে নিয়ে বাইরে গিয়ে ভারী কাজ করা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
কিন্ত আধুনিক সমাজে প্রায় অধিকাংশ গৃহিনীকেই রোজগারে বেরুতে হয় , তাই তাদের একার পক্ষে আর দুদিক সামলানো সম্ভব হয় না ।
পুরুষরা হয়তো অনেকেই রান্নায় তেমন পটু নয় কিন্তু রান্নার কাজে স্ত্রীকে অবশ্যই সাহায্য করে । আর স্ত্রী অসুস্থ থাকলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে বহু পুরুষই রান্না করে খায় । আজকাল আর কোন কাজই নারী বা পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট নেই , সবাইকেই সব রকম কাজ করতে হয়।
পুরুষ মানুষের কি রান্না শেখা উচিত?
অবশ্যই একজন মানুষ হিসেবে পুরুষকেও রান্না শিখে রাখা জরুরী। এতে সেই পুরুষ তাদের ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে অনেক সুখী হতে পারবেন।
যারা ব্যাচেলর তারা মোটামুটি সবাই কাজ চালানোর মতো রান্না জানে। আর যারা জানে না তাদের পরিস্থিতি শিখিয়ে দেয়। বাসায় যেদিন বুয়া আসবে না, হোস্টেলে মিল বন্ধ, ক্যাম্পিং এ গেলেন এই সময় গুলোতে রান্না শেখা ভালো কাজে আসবে। তাছাড়া বিয়ে করলেন বউ অসুস্থ/বাপের বাড়ি বেড়াতে গেছে। কি করবেন? না খায়ে থাকবেন?
রান্না শিখলে অনেকে মনে করেন এতে পুরুষত্ব যায়। আমি বলি এতে বরং সম্মান বাড়ে। ছেলে হয়ে মাঝে মাঝে মায়ের কাজে হাত বাড়ানোতে সবাই হাত্তালি দেয় কিন্তু বউয়ের কাজকে আড়চোখে দেখে। একদিকে সম্মান বাড়লে অপরদিকে সম্মানহানির কিছু নেই।