ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud computing) কাকে বলে? ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা ও অসুবিধা কি?

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud computing) কাকে বলে?


ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (বিশেষত ইন্টারনেট) কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা।

computing

অন্যভাবে বললে বলা যায়, ইন্টারনেটে বা ওয়েবে সংযুক্ত হয়ে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত রিসোর্স ব্যবহারের বিশেষ সেবাকে ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud computing) বলে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা সমূহ:


ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা সমূহ:
১. ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud computing) ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট করা যায়।
২. যেকোনো স্থান থেকে যেকোন সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড সেবা গ্রহণ করা যায়।
৩. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ অনেক কম হয়।
৪. ক্লাউডে সংরক্ষিত তথ্য যেকোনো স্থান থেকে যেকোন সময় এক্সেস করা যায় এবং তথ্য কীভাবে প্রসেস বা সংরক্ষিত হয় তা জানার প্রয়োজন হয় না।
৫. এই পদ্ধতিতে কম হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে বেশি আউটপুট পাওয়া যায়।
৬. ক্লাউড কম্পিউটিং অধিক নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ সিস্টেম।
৭. ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করলে দ্রুতগতিতে সেবা পাওয়া যায়।
৮. নতুন সফটওয়্যার লাইসেন্স করতে হয় না এবং বিশ্বের যেকোনাে স্থানে দ্রুত ইন্টারনেট এক্সেস করার সুযােগ থাকে।
৯. ক্লাউড কম্পিউটিং এর নেটওয়ার্ক ব্যাকআপের কারণে হার্ডওয়্যার ব্যর্থতার ফলে ডেটা ক্ষতি হয় না।
১০. ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের একটি বড় সুবিধা হলো একসাথে অনেক লোকেদের তথ্য ভাগ বা ব্যবহার করার সুয়োগ দিয়ে সহযোগিতা করে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা সমূহ:


ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধা সমূহ:
১. ব্যবহারকারীদের ডেটা অন্য লোকেরা অ্যাক্সেস করতে পারে (হ্যাকিং) এমন ঝুঁকি সর্বদা থাকে।
২. এই পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেক সময় ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানাে হয়।
৩. ক্লাউড কম্পিউটিং ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ, আপনি আপনার সার্ভার ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকতে হবে।
৪. নির্ধারিত সময় পর পর নির্ধারিত ফি দিতে হয়, না দিলে সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।
৫. ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংস্থাগুলি মাঝে মাঝে গ্রাহকদের যথাযথ সহায়তা দিতে ব্যর্থ হয়।
৬. ক্লাউড কম্পিউটিং দ্রুতগতি সম্পন্ন নয়।
৭. আবহাওয়াজনিত কারণে বা ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হলে সার্ভিস বিঘ্নিত হয়।
৮. ক্লাউডে আপলোড করা তথ্য কোথায় সংরক্ষিত হয় তা জানা যায় না।
  • যদিও ক্লাউড কম্পিউটিং এর সামান্য অসুবিধা রয়েছে তবে এর অনেক সুবিধার উপর ভিত্তি করে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।